ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত এখনও পুরো দমে শুরু হয়নি। তার আগেই এই মামলায় নয়া মোড়। তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ এদিন সকালে উদ্ধার করল পুলিশ। এদিকে পুলিশ দাবি করেছে যে নিরঞ্জনের দেহের পাশ থেকে নাকি একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সিবিআই তদন্তকারীরা ঝালদায় পৌঁছানোর আগেই এই মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
জানা যায় যে মঙ্গলবার সিবিআই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিকভাবে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানকে তদন্ত শুরুর বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা সেলভামুরুগানের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা যায়। এরই মাঝে মঙ্গলবার দুপুর তিনটের সময় পুরুলিয়া পুলিশের সুপার সেলভামুরুগানসহ বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা ঝালদা থানায় এসেছিলেন। চার ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাতটার সময় তারা বেরিয়ে যান সেখান থেকে। মৃত কাউন্সিলর তপনের স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী জানান, তিনি শুনেছেন যে জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আজ ঝালদায় পৌঁছানোর কথা সিবিআই তদন্তকারীদের।
এরই আগে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যু ঘটল। এই ঘটনায় নিরঞ্জনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের তরফে দাবি করা হয়েছে যে মানসিক চাপের থেকেই নিরঞ্জন এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে গেলে পুলিশ বাধার মুখে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস ৭ ও ৮-এর পড়ুয়াদের সকালে পড়াতেন নিরঞ্জন। আজ সকালে পড়ুয়ারা এসে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এদিকে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে ‘পুলিশি হেনস্থা’র উল্লেখ করেছেন নিরঞ্জন।