কোচবিহারে চিতাবাঘ বের হওয়ার কথা আগেই শোনা গিয়েছে। রাজ আমলে হাতির পিঠে চেপে শিকার করার ছবিও দেখা যায়। তবে এবার হাতি নিয়ে একেবারে রাতের ঘুম উবে গেল বনদফতরের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি এখনও পর্যন্ত হাতির হানায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বনদফতর ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দাবি সব মিলিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হানায়। এদিকে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে হাতির দলকে পেছনে রেখে সেলফি তোলার চেষ্টা করছেন অনেকে। এটা যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তার একাধিক নজির রয়েছে।
তবে হাতির দলকে নিরাপদে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোটা এখন বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে আর যাতে হাতির হানায় কারোর মৃত্যু না হয় সেটা নিশ্চিত করারও চেষ্টা চালাচ্ছে বনদফতর। কিন্তু সেটা কতদূর সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাছাড়া এতগুলো হাতি কোথা থেকে এল সেটাও প্রশ্নের।
বৃহস্পতিবার দিনহাটার মাতালহাটে ছিল হাতির দল। এরপর সেই হাতি স্থানীয় ফসলের জমিতে কার্যত তাণ্ডব চালায়। এরপর শুক্রবার আলো ফুটতেই দেখা যায় সেই হাতির দল উদয় হয়েছে মাথাভাঙার ২ ব্লকে। আর সেখানে পারাডুবিতে মাঠের কাজ করছিলেন এক ব্যক্তি। হাতি পিষে মারে তাকে। মৃতের নাম বুদেশ্বর অধিকারী। ৬৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হাতির দল তাকে শুড়ে তুলে আছাড় মারে।
মাথাভাঙার ১২ মাইল এলাকাতেও চলে যায় হাতির দল। মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের ভানুরকুঠি এলাকাতে হাতির হানায় অপর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নাম আনন্দ প্রামাণিক।
অন্যদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, উনিশবিশা এলাকা. হাতির হানায় দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তবে সরকারি তরফে অবশ্য দুজনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ছটি হাতি রয়েছে দলে। হস্তিশাবকও রয়েছে। একের পর এক জমিতে নেমে পড়ছে হাতির দল। দলে দলে মানুষ হাতি দেখতে ভিড় করছেন। কখন কোথায় হাতির দল চলে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে বনদফতর। এদিকে এলাকায় একাধিক স্কুলও রয়েছে। স্কুল চলাকালীন যাতে হাতির দল চলে না আসে সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে বনদফতর।