পেশায় শিক্ষক। হিঙ্গলগঞ্জের ভবানীপুর মডেল হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। নাম ফিরোজ কামাল গাজি। এই নামে তাঁকে চিনতে অনেকেরই অসুবিধা হয়। তবে বাবু মাস্টার বললে একেবারে একডাকে চেনেন সকলেই। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পর্বে সিপিএম করতেন। সেই সময় তাঁর দাপটে বিরোধীরা গলা বের করতে পারেননি বহুকাল। এরপর তৃণমূল জমানায় তিনি ভিড়ে গিয়েছিলেন ঘাসফুলে। তবে শাসকদলে গিয়ে ফের শুরু হয় তাঁর দাপট। এরপর ২০২১শের মহারণের আগে একেবারে চারপাশে শোরগোল ফেলে তিনি বিজেপিতে চলে যান। তাঁর বিজেপি যাত্রা নিয়ে চোখ কুঁচকেছিলেন অনেকেই। সেই বাবু মাস্টার এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। বিজেপির প্রতি যে তিনি তিতিবিরক্ত সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। এখানেই প্রশ্ন এতদিনের পোড় খাওয়া নেতার কি হিসাবে কিছু ভুল হয়ে গিয়েছিল?
বাবু মাস্টার বলেন, আমি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছি। এই দলে যোগ দেওয়ার কিছুদিন বাদেই বুঝেছিলাম জায়গাটা আমার জন্য উপযুক্ত হবে না। তবে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য বেরিয়ে আসতে পারিনি। দীর্ঘ কয়েক মাসের তিক্ত অভিজ্ঞতায় এটা মনে হয়েছে এটি মুসলিমদের উপযুক্ত জায়গা নয়। তৃণমূলের বিপক্ষের অন্য দল হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতিমূর্তি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় নেত্রী। বিজেপি দলটা জীবদ্দশায় করব না। তবে তৃণমূলে যাওয়ার কথা খোলসা করেননি তিনি। এদিকে বিজেপিতে আসার পর হামলার মুখে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দুর হাতও ছেড়ে দিলেন একসময়ের দাপুটে বাম নেতা।