জামিন পেলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম। বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার বহরমপুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান মমতাজ বেগম।
আরও পড়ুন: ১৫ লাখ নিয়ে গায়েব! বাংলাদেশের মমতাজের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পশ্চিমবঙ্গে
উল্লেখ্য, এর আগেও এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, প্রত্যেকবার তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও তিনি মামলা করেছিলেন। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপর তাঁকে হাজিরা দিয়ে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় বহরমপুর আদালত। সেই মতো আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মমতাজ। এদিন মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বিচারকের কাছে জানান যে তাঁর মক্কেল কী কী কারণে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। তাঁর সেই যুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
মমতাজের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য মুর্শিদাবাদের একটি আয়োজক সংস্থার সঙ্গে মমতাজের চুক্তি ছিল। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সে বিষয়ে লিখিত চুক্তি হয় ওই আয়োজক সংস্থার কর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের। অভিযোগ, ২০০৮ সালে একটি অনুষ্ঠানে মমতাজের সঙ্গীত পরিবেশনের কথা ছিল। সে মতো তাঁর সঙ্গে আয়োজক সংস্থার চুক্তি হয়েছিল ১৪ লক্ষ টাকার। তার জন্য তিনি শক্তি শঙ্করের কাছ থেকে অগ্রিম টাকাও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি মমতাজ। এরপরে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। তার ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে। সেই মামলাতেই তিনি জামিন পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে এই মামলার চার্জ গঠন হয়ে গিয়েছে। তারপরে কীভাবে অভিযুক্ত জামিন পেলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন মামলাকারী। এদিকে, এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। এদিকে, তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরের সম্মান নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলা চলছে তামিলনাড়ুর আদালতে।