বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Momtaz Begum: ১৫ লাখ নিয়ে গায়েব! বাংলাদেশের মমতাজের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পশ্চিমবঙ্গে

Momtaz Begum: ১৫ লাখ নিয়ে গায়েব! বাংলাদেশের মমতাজের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পশ্চিমবঙ্গে

Arrest Warrant against Momtaz Begum:  ১৫ লাখ টাকা নিয়ে গায়েব! ১৫ বছর পুরোনো মামলায় বাংলাদেশি গায়িকার বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরিমাণ।

ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি 

কথা রাখেননি মমতাজ! টাকা নিয়েও যোগ দেননি অনুষ্ঠানে। ফলস্বরূপ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আইনি বেড়াজালে আটকে বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ। এপার-ওপার দুই বাংলার শিল্পীমহলের পরিচিত নাম মমতাজ বেগম। এই জনপ্রিয় লোকগান শিল্পী আবার বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য। চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

গত ৯ই অগস্ট মুর্শিবাদবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অলক দাস গায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তিন তিনবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল গায়িকার নামে, প্রত্যেকবারই নানান টাল-বাহানা করে সেই পরোয়ানা এড়িয়েছেন মমতাজ।

জানা গিয়েছে, গত ৯ই অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল গায়িকার। বিচারক আগেই জানিয়েছিলেন ওইদিন চার্জ  গঠন করা হবে মমতাজের নামে। উপস্থিত না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথাও জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও হাজির হননি মমতাজ বেগম।

কিন্তু বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে জমা দেন মমতাজ। জানান, এই মুহূর্তে সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য কানাডায় থাকবেন তিনি, তাই সশীরের তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া অস্ভব। এরপর সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। 

২০০৮ সালে মমতাজ দেবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন শক্তিশঙ্কর বাগচী নামের এক ইভেন্ট অর্গানাইজার। তাঁর অভিযোগ ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন গায়িকা। টাকা পেয়ে যাওয়ার পর আর কনসার্ট ভেনুতে হাজির হননি মমতাজ। অভিযোগ সেই টাকা ফিরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন মমতাজ। টাকা নিয়েও শিল্পী মঞ্চে না আসায় হেনস্তার মুখে পড়তে হয় শক্তিশঙ্কর বাগচীকে। ক্ষোভে-অপমানে-হতাশায় মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন আয়োজক। 

প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এই মামলায় আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার সেদিনের ১৪ লাখ রুপি অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার অগ্রিম অর্থ সুদসহ এবং মামলার সব খরচসহ আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।’

১৫ বছর ধরে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন আয়োজক। এর আগে মামলায় সহযোগিতা করার কথা বলেই তিনবার জামিন পান মমতাজ। কিন্তু গত ৯ই অগস্ট হাজিরা ফের এড়িয়ে যান তিনি। তারপরেই আবার গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা হয়েছে। বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখবার।