ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকের হাতে খুন হলেন ব্যাঙ্ককর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার নওপুকুরিয়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পরেই পলাতক অভিযুক্ত। মৃত ব্যাঙ্ককর্মীর নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি মুশিদাবাদের সাগর পাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতসকালে শ্যামবাজারের স্কুলের সামনে মিলল রক্তাক্ত মৃতদেহ, একাধিক ক্ষতচিহ্ন শরীরে
জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। এই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল অভিযুক্ত নিমেশ ঘোষ। তাই ব্যাঙ্কের নির্দেশে ঋণের কিস্তির টাকা তুলতে সোমবার নিমেশ ঘোষের বাড়ি গিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। তবে সেই সময় কিস্তির টাকা পাননি জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে নিমেশ ঘোষের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। শেষে টাকা না পেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর। ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল সাড়ে চারটে। সেইসময় নিমেশ ঘোষ অতর্কিতে পিছন থেকে জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালায়। হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর গলায় কোপ মারে। ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর। এদিকে, জাহাঙ্গীরের আর্তনাদ শুনে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন স্থানীয়রা। রক্তাক্ত অবস্থায় তারা জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে বেলডাঙা থানার পুলিশ। তবে ততক্ষণে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ফলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় খুনের অভিযোগে দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ব্যাঙ্কে না ফেরায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু যোগাযোগ করতে না পেরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর জানতে পারে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মৃত যুবকের পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আপাতত মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।