এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বিরুদ্ধে। আমরুত জল প্রকল্পে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রলয় মিত্র। যদিও এই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। তাঁর দাবি, ‘মিথ্যা অভিযোগ করে পুরসভাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কোনও সমন আমরা এখনও পাইনি। নথি দেখাতে চ্যালেঞ্জ করছি।’
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? মূল অভিযোগ টাকার বিনিময়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে প্রলয় মিত্রের অভিযোগ,‘বাঁশবেড়িয়া পুরসভা আমরুত প্রকল্পের মাধ্যমে জল সরবরাহের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু সেই কাজ করতে ১৪টা টেন্ডার করা হয়েছিল। আমাদের কাছে তিনটে টেন্ডারের নথি আছে। যে সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের যোগ্যতা নেই। তা সত্ত্বেও তাকে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী তিনটে সংস্থা টেন্ডার পেলেও কাজ শেষ হয়নি। তারপরও পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোটি টাকার দুর্নীতি আছে এখানে।’
আর কী অভিযোগ রয়েছে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের জল প্রকল্প। এখানে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। যা এখন বাঁশবেড়িয়া জুড়ে চর্চা চলছে। এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা তিন বছর আগে বলেছিল বাড়ি বাড়ি ২৪ ঘন্টার জল পৌঁছে যাবে। কিন্তু এখনও তা হয়নি। প্রলয়বাবুর অভিযোগ, ‘মানুষ জল পাচ্ছে না। যে টাকা এসেছিল তা টেন্ডার দেখিয়ে এবং না কাজ করে তুলে নেওয়া হয়েছে। আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উত্তর দেননি চেয়ারম্যান। আমার কাছে তথ্য প্রমাণ আছে এখানে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: থানা ভাঙচুর থেকে অগ্নিসংযোগে বাম–কংগ্রেস, গ্রেফতার ৩০ কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক
ঠিক কী বক্তব্য পুরসভার? এই অভিযোগ নিয়ে যখন সরগরম বাঁশবেড়িয়া তখন পাল্টা জবাব দিয়েছেন চেয়ারম্যান। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘অভিযোগকারী পুরসভার একটি উদ্যানের গার্ড ছিলেন। অর্থ তছরুপ করেছিলেন। এলাকার লোকের কাছে অনেক টাকা দেনা করে পালিয়ে যায়। পরে বিজেপি করছেন। চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এই অভিযোগের কোন বাস্তবতা নেই। আটটা জলের ট্যাঙ্ক হয়েছিল আমার আগের বোর্ডে। আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল বলে তৎকালীন পুরপ্রধান এবং আমরুত প্রকল্পের যিনি দায়িত্বে ছিলেন সম্রাট তালুকদারের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত কমিটি গড়েছিলাম। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’ বিজেপি মিথ্যা মামলা করে রাজনীতি করতে চাইছে।