করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল ব্যারাকপুর পুর প্রশাসন। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, শহরের বিভিন্ন দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে খোলা থাকছে। কিন্তু ব্যারাকপুর পুর প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এলাকায় যেখানে যেখানে মানুষের জমায়েত হচ্ছে, সেই সব এলাকা ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুর এলাকায় যত মাছ–সবজির বাজার রয়েছে, তা ২১ জুন থেকে ৭ দিন বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ বাজার এলাকা এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয় প্রশাসন।
ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর সদস্য শুভ্রকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করা হচ্ছিল, মূলত সকালের দিকে এলাকার বিভিন্ন মাছ ও সবজির বাজারে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কম জায়গায় ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে এলাকার মানুষজন বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনছেন।তাই এই জমায়েত কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী ২১ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত শহরের সব বাজার এলাকা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চন্দনপুকুর বাজার, শান্তিবাজার, তালপুকুর বাজারের মতো এলাকা বন্ধ থাকবে।তবে তিনি এও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাজার এলাকা ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার দুধারে যে দোকানপাট রয়েছে, তা কিন্তু খোলা থাকবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু কোনও বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে না। সেসব দোকানপাট খোলা ও বন্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে, সেই অনুযায়ী এলাকার ব্যবসায়ীরা চলবেন।
একইসঙ্গে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য জানিয়েছেন, এলাকায় কোনও শপিং মলে যদি কোনও মুদিখানার দোকান থাকে, তাহলে সেই সব শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যেসব শপিং মলে কোনও মুদিখানার দোকান নেই, সেই সব শপিং মল খোলা থাকছে। সেখানে কোনও বিধি নিষেধ জারি করা হচ্ছে না।সংক্রমণ রুখতে কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা কী হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্যারাকপুর পুর এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। দরকার নেই। এলাকায় বাজারগুলিকে কিছুদিন বন্ধ রাখলেই সংক্রমণের হার কমানো অনেকটাই সম্ভব হবে।