ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে জাল নথির কারবারিকে ধরলেন নদিয়ার তেহট্ট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার। বৃহস্পতিবার রাতে তেহট্টর নজিরপুরের মৃগী এলাকায়। ধৃতের নাম জয়ন্ত মিস্ত্রি। তাঁকে জেরা করে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক পার্শ্বশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে মৃগী এলাকায় একটি সাইবার কাফেতে বিড়িশ্রমিক সেজে যান শুভাশিসবাবু। সেখানে দোকান মালিক জয়ন্ত মিস্ত্রিকে জানান, বিড়ি শ্রমিকের পরিচয়পত্র বানাবেন তিনি। কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এর পর অপেক্ষা করতে করতে জয়ন্তবাবুর সঙ্গে আলাপ জমান তিনি। ছদ্মবেশী বিডিওর প্রশ্নের উত্তরে দোকান মালিক জানান। সেখানে টাকা দিলেই সমস্ত নথি পাওয়া যায়। আধার কার্ড থেকে, রেশন কার্ড। এমনকী বাড়তি খরচ করলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের স্ট্যাম্প দেওয়া নথিও মেলে।
কিন্তু বিড়ি শ্রমিক এত কথা জিজ্ঞাসা করছেন কেন তা নিয়ে সন্দেহ জাগে দোকান মালিকের মনে। তখন দোকান ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে সেখানে হাজির সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা।
এর পর ওই সাইবার কাফেতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে দিস্তা দিস্তা জাল নথি। আধার কার্ড থেকে কী নেই সেখানে। পাওয়া গিয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের জাল স্ট্যাম্প। নগদ ৫০ হাজার।
জয়ন্তকে জেরা করে বিশ্বজিৎ দাস নামে আরেক পার্শ্বশিক্ষকের খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁকেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
শুভাশিসবাবু জানিয়েছেন, একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এই জাল নথি চক্রের খোঁজ পাই। অভিযুক্ত যাতে পালাতে না পারে তাই ছদ্মবেশে গিয়ে হাতেনাতে ধরেছি।