অক্ষিতা কুমারী
তৃণমূল কংগ্রেস (তৃণমূল) সোমবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে জরুরি ভিত্তিতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার জন্য নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক ভোটদানের সঠিক পরিসংখ্যান এবং ভোটার উপস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশে এত দেরি কেন হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করেছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, ৩০ এপ্রিল প্রথম দু'দফার ভোটদানের শতাংশ দেরিতে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, 'আগের নির্বাচনগুলির থেকে এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন, যেখানে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন সরবরাহ করেছিল।
ভোটার ভোটদানের তথ্য ভাগ করে নিতে ইসিআইয়ের বিলম্ব নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যে গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জোর দিয়ে বলেছে যে ‘প্রকাশ এবং স্বচ্ছতা নির্বাচন কমিশনের কাজের স্ট্যান্ডার্ড অনুশীলন এবং ভোট শেষ হওয়ার পরেই প্রার্থীদের কাছে প্রকৃত ভোটের সংখ্যা পাওয়া যায়’।
তৃণমূলের আরও দাবি, রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে যে শতাংশ রিপোর্ট করা হয়েছিল, তাতে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে।
প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ভোট পড়ার হার দেখানো হয়েছিল ৬০ শতাংশ, পরে ৩০ এপ্রিল তা ছিল ৬৬.১৪ শতাংশ।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দফার চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশে এগারো দিনের বিলম্ব এবং দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হওয়ার প্রায় চার দিন পর কোনও যথাযথ ব্যাখ্যা ছাড়াই ৫.৭৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোটারদের মনে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৬১ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধির ৪৯ এস বিধি অনুসারে প্রিসাইডিং অফিসার ফর্ম ১৭সি-তে রেকর্ড করা ভোটের একটি হিসাব প্রস্তুত করবেন এবং প্রত্যেক পোলিং এজেন্টকে তা জমা দেবেন যেখানে প্রকৃত ভোটার সংখ্যা, ভোট দেওয়া লোকের সংখ্যা এবং ইভিএমে রেকর্ড করা মোট ভোটের সংখ্যা।
তৃণমূলের দাবি, প্রতিটি আসনে মোট নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা, 'রেজিস্টার ফর ভোটার' অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোট হওয়া সমস্ত আসনে ইভিএম অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে।
এ ধরনের বৈষম্য দূর করতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করবে।
সাত দফায় চলছে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বাকিগুলো ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।