ক্রমশ বাড়ছিল সংক্রমণ। লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আরও কড়া বিধিনিষেধের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ। সরকারিভাবে লকডাউনের ঘোষণা করা না হলেও কার্যত সেইরকমই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামিকাল সকাল ছ'টা থেকে জারি বাংলায়। আগামী ৩০ মে সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ চলবে।
একনজরে কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হল এবং কী কী খোলা থাকবে -
১) সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২) বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলি খোলা থাকবে।
৩) শপিং, মল, বাজার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে।
৪) সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাক-সবজি, ফল, মুদিখানা, মাংস, ডিম, পাউরুটির সঙ্গে যুক্ত খুচরো দোকান এবং বাজার খোলা থাকবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান, চশমার দোকান সাধারণ সময়মতো খোলা থাকবে। বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত সোনা ও শাড়ির দোকান খোলা থাকবে। পেট্রল পাম্প, অটো রিপেয়ার দোকান, এলপিজি গ্যাসের দোকান এবং বণ্টন দোকান খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান, চশমার দোকান সাধারণ সময়মতো খোলা থাকবে।
৫) রাজ্যের মধ্যে মেট্রো, লোকাল ট্রেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ট্যাক্সি, অটো বন্ধ থাকবে। শুধু জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত পরিবহনে ছাড় মিলবে। কার্যত সব রকমের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি, চিকিৎসা, সংবাদমাধ্যম, হাসপাতাল, ক্নিনিক, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি, টার্মিনাল পয়েন্ট থেকে গাড়ি, টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে চলাচল করতে পারবে।
৬) ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। তবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত কাজ চলবে। এটিএম পরিষেবা মিলবে।
৭) রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক - সবরকম জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা।
৮) চা বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। জুটমিলে কর্মী উপস্থিতি সর্বাধিক ৩০ শতাংশে বেঁধে রাখা হচ্ছে।
৯) রাত ন'টা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে সবরকম গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।