নবজোয়ারে বেরিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাস্তার দুধারে এদিক ওদিকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু লোকজন। চারপাশে দোকান। পুলিশও রয়েছে রাস্তার ধারে। আর তখনই আচমকা ভেসে আসে সেই স্লোগান, ভাইপো চোর, ভাইপো চোর। আচমকাই থেমে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কনভয়। এরপর চারদিকে সজাগ হয় পুলিশ।
গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পুলিশ কর্মীরাও তটস্থ হয়ে যান। এরপর সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় মূল রাস্তা থেকে গলির ভেতর ঢুকে যান অভিষেক। পুলিশ কর্মীরাও তাঁর পেছনে ছুটতে শুরু করেন। কিন্তু ভিডিয়োতে দেখা যায় চারপাশের লোকজনের মধ্য়ে কোথাও কোনও চাঞ্চল্য নেই। এরপর গলি থেকে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুলিশকে তিনি কিছু বলেন। হাত জোড় করে নমস্কার করেন। কিন্তু কারোর কোনও হেলদোল নেই সেভাবে। এরপর তাঁর গাড়ি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল রাস্তায়। তিনিও ফের পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বেরিয়ে যায় কনভয়। এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ক্ষমতার দম্ভের প্রকাশ। যদি চোর ডাক শুনে তিনি এতটা রেগে যান তবে ভেবে দেখুন, বিজেপির প্রার্থী ও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কী ধরনের অত্যাচার ও হিংসা ঘটাচ্ছেন। তবে এই ভিডিয়োর নীচে লেখা রয়েছে অমিত মালব্যর থেকে প্রাপ্ত।
এদিকে সুকান্ত মজুমদারের এই টুইটের নীচে একজন লিখেছেন, দম থাকলে সামনে বলবি তো লুকিয়ে গেলি কেন? অপর একজন লিখেছেন, গরু চোর, কয়লা চোর, চাকরি চোর।
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে একের পর এক নেতা মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছেন। তাদের প্রায় সকলকেই শুনতে হয়েছে চোর চোর স্লোগান। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় থেকে মানিক ভট্টাচার্য বাদ থাকেনি কেউ। তবে এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে ডাক পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কনভয় লক্ষ্য় করেও এবার চোর চোর স্লোগান।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ঠাকুরনগরে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়ি চত্বরে তুমুল শোরগোল। আর তিনি ঠাকুরবাড়ি ছাড়তেই উঠেছিল চোর চোর চোরটা স্লোগান।
ইদানিং এই স্লোগানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন বঙ্গবাসী। শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে মানিক ভট্টাচার্য সবাইকেই শুনতে হয়েছে চোর চোর চোরটা স্লোগান। কখনও আদালতের বাইরে, কখনও আবার হাসপাতালের বাইরে আওয়াজ তুলেছেন সাধারণ মানুষ, চোর চোর চোরটা।