১০০টি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল। রেলের উদ্যোগে তৈরি হবে এই প্রকল্প। ভারতীয় রেল সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য় এগিয়ে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে,এর মধ্য়ে অন্তত ৬০ টার্মিনাল পিপিপি মডেলে হতে পারে। বাকি ৪০টা সরকারি তত্ত্ববধানে তৈরি করা হবে। তবে মনে করা হচ্ছে চলতি যে আর্থিক বছর চলছে তার শেষ দিকে এই ৪০টি গতিশক্তি টার্মিনাল কার্যকরী হতে পারে।
এই গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল মূলত মালপত্র বহনের জন্য় কার্যকরী করা হবে। অর্থাৎ যাত্রীদের জন্য় সরাসরি এই টার্মিনাল নয়। এটা মূলত কার্গো টার্মিনাল। রেললাইনের ধারে যে সমস্ত জমি অব্য়বহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে সেখানেই এই গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে একবার এই ১০০টা টার্মিনাল কার্যকরী হলে তারপর আরও ১০০টি টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ধাপে ধাপে এই কার্গো টার্মিনালের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
২০২২-২৩ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে এই গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা ছিল। ৫ বছর সময়কালের মধ্য়ে এই টার্মিনাল করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। মূলত রেলপথে যে সমস্ত জিনিসপত্রগুলি আসে তা খালাস করার জন্য় যাতে উপযুক্ত জায়গা থাকে সেকারণেই এই নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এই কার্গো টার্মিনাল তৈরির জন্য় ৫৩৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারেও বলা হয়।
তবে এই কার্গো টার্মিনালে মূলত সিমেন্ট ও কয়লার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স ও জামাকাপড়ের তুলনায় কয়লা ও সিমেন্ট জাতীয় দ্রব্যের উপর কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
যে জিনিসগুলির ওজন বেশি সেগুলি মূলত মালগাড়িতেই পরিবহণ করা হয়। তবে যে জিনিসগুলির ওজন কম সেগুলি সাধারণ ট্রেনে কম পরিমাণে অনেক ক্ষেত্রে পরিবহণ করানো হয়। সেক্ষেত্রে সরকার বিশেষত সিমেন্ট, কয়লার মতো সামগ্রী পরিবহণের উপর জোর দিচ্ছে।
এদিকে সূত্রের খবর, এই কার্গো টার্মিনাল তৈরি হলে এলাকার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। কারণ একটা জায়গায় টার্মিনাল তৈরি হলে প্রচুর গাড়ি লাগে। সেই সঙ্গেই প্রচুর শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত হন। সেই সঙ্গেই স্থানীয় মানুষদেরও এই টার্মিনালের মাধ্য়মে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে। সব মিলিয়ে রেলের এই প্রকল্পকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন সাধারণ মানুষ।