এখন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডরা। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় তাঁরা। প্রশাসনিক কর্তাদের আবেদনেও জিটিএ বিরোধীরা সাড়া দেননি। পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা অনশন প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিনয় তামাংরা বলে খবর। বিধানসভায় বাংলা ভাগ বিরোধী প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে আবার বনধ দেখতে চলেছে পাহাড়। রাজ্য সরকারের পাশ করা প্রস্তাবের প্রতিবাদে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং হামরো পার্টি। সেদিন থেকেই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। জিটিএ বিরোধীদের দাবি, অবিলম্বে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
এদিকে আজ থেকে ২৪ ঘণ্টার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জিটিএ’র ৯ বিরোধী সদস্য। আজ, বুধবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে এই অনশন আন্দোলন। বাংলা ভাগ হবে না—রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই অনশন আন্দোলন। দার্জিলিংয়ের গোর্খা রঙ্গ মঞ্চে অনশন চলছে। বুধবার ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক বিরোধী সদস্যরা। তবে জরুরি পরিষেবা ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বনধের আওতার বাইরে রাখা হবে বলে বিনয়রা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বনধ নিয়ে মঙ্গলবারই শিলিগুড়িতে রাজ্যের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এমনকী প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পর বনধ থেকে সরে আসেননি বিনয় তামাংরা। বরং বিনয় তামাং বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যেতে কোনও অসুবিধে হবে না। বনধের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জরুরি পরিষেবা। স্কুল বাস স্বাভাবিক ছন্দেই চলবে। রাস্তাঘাটে কোনও বনধ সমর্থক থাকবেন না। তবে বনধ হবেই।’ ফলে শৈলশহর আবার তেতে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন বিনয়–অনীত? এই বনধ নিয়ে অনড় বিনয় তামাং। বিনয় এই বিষয়ে বলেন, ‘পাহাড়বাসীর কাছে বনধকে সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা গোর্খাল্যান্ড চায় তাঁরা সমর্থন করবেন।’ দার্জিলিংয়ে জিটিএ’র ৯ বিরোধী সদস্যদের অনশন প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে মঞ্চে যান সদর মহকুমাশাসক দুলেন রায়–সহ পুলিশ কর্তারা। অনশন মঞ্চ থেকে তাঁরা জানিয়ে দেন, ‘বনধ প্রত্যাহার নয়, গ্রেফতার করলে করুন। ১০ বছরের সাজা দিন। তবে অনশন চলবে।’ পালটা দিয়েছেন জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় নামার প্রশ্নই নেই। বনধের প্রভাব পড়বে না পাহাড়ে।’