ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘর ছাড়া কর্মীদের বাড়ি ফেরাতে গিয়েও এবার আক্রমণের মুখে পড়ল জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হল জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়-সহ দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকদের।
অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অবশ্য তৃণমূলের তরফে ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ঘটনায় জখম হয়েছেন সাংসদ। মাথা ফেটে গিয়েছে দলের দুই কর্মীরও। জয়ন্তবাবু ও আহত বিজেপি কর্মীদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় আঘাত পেয়েছেন সাংসদ। দুই বিজেপি কর্মীর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাইও পড়েছে। সাংসদকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মেডিক্যালে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দলের তরফে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। ঘটনা ঘিরে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির আমবাড়ি এলাকায়। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে ওই জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ১৩ টি বিজেপি কর্মীদের পরিবার ঘর ছাড়া ছিল। ঘটনার সময় তাঁরা পালিয়ে গিয়ে আমবাড়ি ফাড়ির অধীনস্ত হরেকৃষ্ণ মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন থেকে সেখানেই ছিলেন ওই ১৩টি পরিবার। এদিন বিকেলে সাংসদ জয়ন্ত রায় কর্মী-সমর্থক ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামে যান।
উদ্দেশ্য ছিল ঘর ছাড়াদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া। অভিযোগ উঠেছে, ওই গ্রামে ঢোকা মাত্রই একদল লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁদের ওপর বাঁশ নিয়ে আক্রমণ চালায়। সাংসদ জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। তারা বাঁশ হাতে নিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরে চিৎকার করে বলতে থাকে যে, এলাকায় বিজেপি করতে দেওয়া হবে না। তারপরই তাঁদের এলেপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সাংসদের। সাংসদের আরও অভিযোগ, তাঁদের বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। ঘটনায় শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় আঘাত পেয়েছেন সাংসদ। এরপর কোনওক্রমে তাঁরা এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তবে মারধরের কারণে আহত হন সাংসদ-সহ বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও যখন তাঁদের মারধর করা হচ্ছিল, তখন তাঁরা এগিয়ে আসেননি।