আবার চড়া সুরে শাসকদলকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এখন চরমে উঠেছে। এদের বিসর্জনের বাজনা বেজে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার খড়গপুর শহরে চায়ে–পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এই কথাই বললেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই তিনি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তিনি।
ঠিক কী বলছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি? সম্প্রতি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, রাজ্যে শাসনের আইন নয় শাসকের আইন চলছে। বাংলার এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরাও বলেছি, আমাদের বিরোধী নেতারাও বলেছে এবং এই বিষয়টি সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। পাড়ায় পাড়ায় খুন, ধর্ষণ, জেলায় জেলায় খুন, ধর্ষণ, কলকাতার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাচ্চা ছেলে মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার, রেপ করা মহিলাদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। যারা শাসনটি চালাবে তারা এখন পার্টি বাঁচাতে, নেতা বাঁচাতে, পরিবার বাঁচাতে ব্যস্ত। রোজ কোন না কোন নেতা সাংসদ–বিধায়ক জেলে যাচ্ছে। দুর্নীতি চরমে উঠেছে। তাই বিসর্জনের বাজনা বেজে গিয়েছে। সেই জন্যই সরকারের কাছ থেকে আর কিছু আশা করা যাচ্ছে না।’
পবন সিং বিজেপি ছাড়বে না বলেছেন। আপনার প্রতিক্রিয়া ঠিক কী? অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিংয়ের বিজেপি না ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেটা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। কিন্তু পবন সিং বিজেপির প্রতীকে জিতেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সে আমাদের পার্টির বিধায়ক। এখন কী হবে, আর কী করবে সেটা তো বলা যায় না রাজনীতিতে। বিজেপিতে আছে সে নিজেই বলেছে সেটা।’ বাবা অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। তাই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন পবনের ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জেলে যাওয়ায় এখন একটু ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ করছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় সম্মিলনী নিয়ে কী বলবেন? তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় সম্মেলনী নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দেখে শিখছে আর কী। তৃণমূলের বিজয়ের সম্মেলনী করলে কী হয়, সেটা কি আমরা জানি না? আমরা মণ্ডলে মণ্ডলে ১২০০–র বেশি জায়গায় বিজয়া সম্মেলনী করছি। সেটা দেখে এটা তো জনসংযোগের একটি ভাল মাধ্যম। সেটা যদি হয় আমার মনে হয় এটি একটি ভালো কাজ। কিন্তু তৃণমূলের তো কাটমানির টাকায় এসব হবে। মৌজ–মস্তি হবে, ডিজে বাজবে, বিজয়া সম্মেলনীর আসল উদ্দেশ্য যদি ফুর্তি হয় তাহলে খুব ভাল কথা।’