প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল ঘটে দুইদিন আগেই। সেদিন ১২ জন মন্ত্রীর পাশাপাশি একাধিক রাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ২০১৪ সাল থেকে আসানসোল লোকসভার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের মন্ত্রিত্ব খোয়ানো নিয়ে আসানসোলের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তবে এরই মাঝে বাবুলের পাঁশে দাঁড়ালেন একদা তাঁর শত্রু হিসেবে পরিচিত জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রাক্তন মন্ত্রীর নামে প্রশংশা শোনা গেল আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের গলায়।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, 'বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি এলাকায় আরও কাজ করবেন। মন্ত্রিত্ব থাকুক বা যাক, তাতে আসানসোলবাসীর কোনও সমস্যা হবে না। সাংগঠনিক স্তরে বাবুল সুপ্রিয়র অনেক কিছু দেওয়ার আছে আসানসোল বিজেপিকে। আর আমি দেখেছি বাংলার রাজনীতি নিয়ে ওনার উৎসাহ বেশি রয়েছে।' উল্লেখ্য, একদা এই জিতেন্দ্রকেই দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বাবুল। কারণ জিতেন্দ্র যখন তৃণমূলে ছিলেন দুই জন একে অপরের 'শত্রু' ছিলেন। তবে দল বদলে এখন যেন দুই জনেই বন্ধু।
২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েই রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৯ লোকসভায় বিপুল ভোটে জেতার পর তাঁকে ফের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি মাত্র ২টি আসন পেয়েছে। টালিগঞ্জে ভোটে দাঁড়িয়ে নিজেও হারেন বাবুল।
বুধবার পদত্যাগ করার পর দু'টি টুইট করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তিনি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বুঝিয়ে দেন বাবুল তিনি টুইটে লিখেছিলেন, 'আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।' অর্থাৎ, তাঁকে জোর করেই পদত্যাগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাবুল।