বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গাফিলতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মোতায়ন থাকা ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের পরিখা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিকে, ঘটনার ৩ দিন পরেও এখনও মহিলার নাম পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ, তদন্তে পুলিশ
যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) তাতে দেখা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের ভিতরে রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক মহিলা। নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতেও কীভাবে ওই মহিলা ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করলেন তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানান, ‘১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওরা খুবই কম মাইনে পান। তবু একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে এক মহিলাকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।’ তবে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে এই ভিডিয়োর কোনও সংযোগ নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। মূলত কড়া বার্তা দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অপারেটিভের মাধ্যমেই তাদের নিয়োগ করা হয়। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হবে।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের পরিখা থেকে মঙ্গলবার এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠায়। মৃত মহিলার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আর এরপরেই বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। এখনও এই ঘটনার তদন্ত করছে বর্ধমান থানার পুলিশ। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়েও কিছু মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই’র পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছিল নিরাপত্তার বিষয়ে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, অধ্যাপক থেকে কর্মচারীদের মধ্যে।