বনগাঁ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ খোয়ালেন শংকর আঢ্য। মঙ্গলবার পুর দফতর থেকে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে সেই পদে বসাল রাজ্য সরকার। তৃণমূলের অন্দরে খবর, দীর্ঘদিন ধরে শংকর আঢ্যকে সরানো নিয়ে চাপ বাড়ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে ফেরার পথ সুগম করতেই এই পদক্ষেপ।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুর এলাকায় ব্যাপক হার হয় তৃণমূলের। এর পরই শংকর আঢ্যকে সরানোর দাবিতে সরব হয় দলের একাংশ। দলের সেই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা ছিলেন তখন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু। ১৪ জন কাউন্সিলর শংকরবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। যদিও নাটকীয় আস্থাভোটের পর পদ রক্ষা করতে পারেন শংকর। এর পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিশ্বজিৎ দাস।
বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ফের বিধায়ক হয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু। ওদিকে মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শংকর আঢ্যকে সরিয়ে দিল তৃণমূল।
এদিন শংকরবাবু বলেন, ‘আমাকে দল কেন সরিয়েছে তা জানা নেই। এখন চক্রান্তের কথা বলা উচিত নয়। বনগাঁয় বিধানসভা নির্বাচনের ফলে জন্য যদি আমাকে সরানো হয়ে থাকে তাহলে গোটা মহকুমায় একই রকম পদক্ষেপ করা উচিত। আমি কী কাজ করেছি তার জবাব আগামী দিনে বনগাঁর মানুষ দেবেন।’
দায়িত্ব পেয়ে গোপাল শেঠ বলেন, ‘দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে পালন করেছি। যোগ্য মনে করেই পুর প্রশাসকের পদে বসিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।’
ওদিকে বিশ্বজিৎ দাসকে দলে ফেরানোর বিরোধিতায় মঙ্গলবারই পোস্টার পড়েছে বনগাঁয়। তাতে বিশ্বজিৎবাবুকে ‘মিরজাফর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।