মাটিগাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে পাহাড়। শনিবারে এই ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ে বনধ হয়েছে। এবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করল শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। রবিবার নাবালিকার বাড়িতে যান কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় ও উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। তাঁরা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য সবরকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মাটিগাড়ায় ছাত্রী খুনে আব্বাসের ফাঁসি চায় শিলিগুড়ি, HT-Bangla রিপোর্ট
ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানান কমিশনের সদস্যরা। যদিও ওই ঘটনার পর থেকেই নাবালিকার বাড়িতে বিভিন্ন রাজ্যনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের যাওয়ায় তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘আমরা মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এই অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া পকসো আইনে মামলা রুজু করতে হবে। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আমরা এই অপরাধের জন্য দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এটা জঘন্য অপরাধ। তার জন্য যুবককে যাতে কোনওভাবেই ছাড়া না হয় তার আবেদন আমরা করছি।’
অন্যদিকে, রাজনৈতিক নেতারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দল পরিবারের সঙ্গে দেখা করছে। এরফলে মৃতার পরিবারের সদস্যরা শোক পালন করার সময় পাচ্ছেন না।’ তিনি জানান, পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যপালের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ রাজ্যপাল কেন আসছেন তার উত্তর উনিই দিতে পারবেন। আমরা কিছুই বলতে পারি না। এভাবে বারবার সবাই মিলে গিয়ে মৃতার পরিবারকে বিরক্ত করার কিছু নেই। রাজ্যপাল কেন যাচ্ছেন তা উনিই বলতে পারবেন। তবে আমরা যেহেতু শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি আমাদের এটাই কাজ। তাই আমাদের আসতে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি একটি স্কুলে এক নাবালিকা নেপালি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই ঘটনায় বনধের ডাক দিয়েছিল। এরপর শনিবার গোর্খা সেবা সেনার তরফে বনধের ডাক দেওয়া হয়।। দুটি বনধেই ভালো প্রভাব পড়েছে।