আমন আরিয়ান
ওড়িশায় ভোট। অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর সেই মনোনয়নের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই তাদের হলফনামাও জমা দিতে হয়েছে। সেই হলফনামার সঙ্গে রয়েছে তাদের আয় ব্যয়ের হিসেব। কত টাকা তাঁদের আয়, কত সম্পত্তি, কত টাকা লোন রয়েছে সবটা জানানো হয়েছে তাতে। আর সেই হিসাবেই এবার সামনে এসেছে চমকে দেওয়া খবর।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে মোট ২৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭০ জন (২৯ শতাংশ) কোটিপতি। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে সেটা ২৯ শতাংশ।
ওড়িশা ইলেকশন ওয়াচ এবং এডিআর ২৪৩ জন প্রার্থীর স্বঘোষিত হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে, যার মধ্যে ৬৫ জন (২৭ শতাংশ) নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে ৪৮ জন (২০ শতাংশ) গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি।
২৮টি আসনের মধ্যে ১২টি (৪৩%) রেড অ্যালার্ট নির্বাচনী এলাকা।
এই আসনগুলিতে তিন বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী পিছু গড় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.২১ কোটি টাকা।
বিজু জনতা দলের (বিজেডি) গড় ৪.৪৯ কোটি টাকা, একই দলের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী বিপ্লব পাত্রো, দিগাপাহাড়ি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৩ কোটি টাকার ঘোষিত সম্পত্তি রয়েছে।
এরই মধ্যে রমেশ কুমার মহানন্দ ও পূর্ণচন্দ্র মাঝি নামে দুই প্রার্থী শূন্য সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জন (১৩%) মহিলা। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ৫৯ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১১ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।
২০২৪ সালের ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন চার দফায় ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোট গণনা হবে ৪ জুন।
এদিকে হলফনামা দেখেই প্রার্থীদের সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়। সেক্ষেত্রে কার কত সম্পত্তি রয়েছে, কার শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক কতটা, কার বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা রয়েছে, কার কতগুলি গাড়ি রয়েছে। তার দাম কত। কতগুলি বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ি বা জমির বাজারদর কত। সবটা জানাতে হয়। আর সেই হলফনামা দেখেই প্রার্থীর বিষয় আশয় সম্পর্কে জানা যায়।