২০১৮ সালের পর ফের উসকে উঠেছে ভাগাড়কাণ্ডের স্মৃতি। সেই সময় শহরের বিভিন্ন হোটেলে পচা মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। মুরগির মাংসের বদলে অন্য কোনও মাংস সরবরাহ করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। এবার সেই ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিয়ে হুগলির চন্দননগরে পচা মাংস মজুতের অভিযোগ উঠছে এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চন্দননগর কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দাবি, এক কেজি, দু কেজি নয়, তার বাড়ির ফ্রিজ থেকে প্রায় ৫৬ কেজি মুরগির পচা মাংস পাওয়া গিয়েছে। তবে কি এগুলি বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করার জন্য মজুত করা হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম বিমলেন্দু দাস। চুঁচুড়ার খড়ুয়া বাজারে তার দোকান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ লাইন, সংশোধনাগার, মেস সহ শহরের বিভিন্ন হোটেলে তিনি মাংস সরবরাহের বরাত পেতেন। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ফুড ইনসপেক্টরও ছিলেন। এদিকে পুলিশের দাবি, ওই বাড়ির ফ্রিজার থেকে ৫৬ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মাংস পচা বলে নিশ্চিত করেন ফুড ইনসপেক্টর। এরপরই ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ফ্রিজারে পচা মাংস রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার।
বিমলেন্দু দাসের দাবি, ‘জামাইষষ্ঠীর জন্য মাংস রাখা ছিল। আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। এখনও বাড়ির ফ্রিজে ২৫ কেজি মাংস রয়েছে। ফুড ইনসপেক্টর কোনও পরীক্ষা না করেই ডেস্ট্রয়েড বলে স্ট্যাম্প দিয়ে দেন। কুকুরের জন্য রাখা মাংস ও অন্য মাংস মিলিয়ে দেন। বার বার বলা হলেও কথা শোনা হয়নি। ’ পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘তদন্ত চলছে। উদ্ধার হওয়া মাংস ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’