পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় তেতে উঠেছিল হিংসায়। রক্ত, প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। আবার চোপড়া বিধানসভার অন্তর্গত ইসলামপুর ব্লকের সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আতালডাঙিতে দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষে চলল গুলি। আর তার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রায় ১৪ জন বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবদুল হকের নেতৃত্বেই এই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। স্বাধীনতা দিবসেও রাজনৈতিক হানাহানি দেখল গ্রামবাংলা। এই ঘটনা নিয়ে আজ, বুধবার আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীসংঘর্ষ বলেই সূত্রের খবর। আর তার জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবদুল হক বলেও অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে এমন গুলি চলার আওয়াজ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। যদিও আহত এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর দাবি, নির্দলের সদস্যরা এই গুলি চালিয়েছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়েছে এই জেলায়। আহত গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে রাতেই ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে এই গোটা ঘটনা নিয়েছে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই এলাকায় আজ সকালে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন রুটমার্চ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে গুলি চলার অভিযোগ করেন গ্রামের মানুষজন। হাসপাতালে কয়েকজন ভর্তি আছেন। ঠিক কী ঘটেছে? তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারও নামে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে শুটআউট এবং গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর মেলায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আহতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: আরও বেশি ইলেকট্রিক বাস কি নামবে শহরে? সুপারিশ করল বিধানসভার এস্টিমেট কমিটি
ঠিক কী বলছে তৃণমূল? এই ঘটনা নিয়ে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। এই বিষয়ে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ফজলুল হব্বি বলেন, ‘আমরা জাহেদুলের লোক। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটা মিটিং ছিল। সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানেই আমাদের উপর হামলা করা হয়। হামিদুলের লোক ইউসুফ, মোক্তার এসেই বলছিল যাঁরা জাহেদুলকে ভোট দিয়েছে তাঁদের মেরে দেব। রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তারপরই গুলি চলে। প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে গুলি লেগে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ডাকা বৈঠক এমন করেই রক্তাক্ত হয়।’