মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বুধবার সকাল দশটায় বড় ঘোষণা করবেন তিনি। সেইমতো সকাল ১০টা ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আশাকর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের ৭৫০ টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া আইসিডিএস সহকারীদের বেতন ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হল। এই বেতন বৃদ্ধিকে সাত বছর ধরে লাগাতার আন্দোলনের জয় বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে তিনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, ‘এই বেতন বৃদ্ধি খুবই সামান্য। আমরা গত সাত বছর ধরে আন্দোলন করছি। এই বৃদ্ধি খুবই সামান্য। লাগাতার আন্দোলনের ফলে মুখ্যমন্ত্রী বেতন বাড়াতে বাধ্য হলেন।’
তিনি জানান মঙ্গলবারই আশাকর্মী ইউনিয়নদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান তাঁরা। শুধু তাই নয় আশা ও আইসিডিএস কর্মীদের নির্দিষ্ট কাজ ছাড়া অন্য কাজও তাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়। তার বদলে তাঁরা বাড়তি কোনও টাকা পান না। বৈঠকে এই বাড়তি কাজ দেওয়া বন্ধেরও দাবি জানান কর্মীরা। আধিকারিকরা আশ্বাস দেন, আগামী দিনে তাঁদের নির্দিষ্ট কাজের বাইরে বাড়তি কোনও কাজ দেওয়া হবে না। নবান্নে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা।
আরও পড়ুন। মোদীর 'সন্দেশখালি ঝড়'-এর আগেই বড় ঘোষণা মমতার, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক বার্তায় বলেন, 'আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, আশা মেয়েরা আমাদের অনেক কাজ করে। আমাদের গর্ব। এপ্রিল মাস থেকে তাঁদের বেতন ৭৫০ টাকা বাড়ানো হল। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ৮ হাজার ২৫০ টাকা মতো পান। তাঁদেরও এপ্রিল মাস থেকে ৭৫০ টাকা বেতন বৃদ্ধি পেল। আইসিডিএস হেল্পারদের বেতনও ১ এপ্রিল থেকে ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হল।'
ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, অথচ আমাদের ভলান্টিয়ার তকমা থাকা সত্ত্বেও সেভাবে বেতন বাড়ে না। আমরা চাই গ্রুপ সি ক্যাটাগরির সমান বেতন। এই ৭৫০ বা ৫০০ টাকাও বাড়ত না, যদি না সরকারের উপর আন্দোলনের চাপ থাকত।’
আগামী দিনে তারা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, জানিয়েছেন, ইসমত আরা খাতুন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের বিভিন্ন দাবিতে মূখ্যমন্ত্রীর কাছে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি একটি ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন।