আজ, মঙ্গলবার জিটিএ–এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিংয়ে ২০০ একর জায়গায় আরও একটি শহর গড়ে উঠবে।বাতলে দিলেন পাহাড়ের কর্মসংস্থানের দিশা। পর্যটকদের কাছে ‘পাহাড়ের রানি’কে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সমতলের সিলিকন ভ্যালির মতো পাহাড়েও আইটি হাব তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী কী বিষয় হবে? এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই শহরে থাকবে শপিংমল, হোম স্টে, ছোট দোকান, রেস্তোরাঁ–সহ একাধিক পরিষেবা। তার জন্য ২০০ একর জমির বন্দোবস্ত করা গিয়েছে। মূল শহরের পাশেই এই নতুন শহর গড়ে উঠবে। একইসঙ্গে পাহাড়ের যানজট, পানীয় জলের সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক নতুন দার্জিলিং গড়ার স্বপ্ন দেখালেন তিনি।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? জিটিএ নির্বাচনে এবার অনীত থাপাদের দলের সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ের স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচনে খাতা খুলেছে তারা। এখানে তিনি বলেন, ‘মাঝে পাহাড় কিছুটা অশান্ত হয়েছিল। পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনে রাজ্য সরকার। এখন পাহাড় শান্ত। সেই শান্তির বাতাবরণকেই ধরে রাখতে হবে।’
নতুন শহরের রূপরেখা কেমন? এদিন মুখ্যমন্ত্রী নতুন শৈলশহরের রূপরেখা দিতে গিয়ে বলেন, ‘২০০ একর জমিতে নতুন শিল্পনগরী হবে। নতুন শিল্পনগরীতে থাকবে হোম স্টে, শপিং মল, ওয়্যার হাউজ, পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা। আইটি হাব হবে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে। পাহাড়ে যাঁরা ফুটপাথে দোকান দেন, তাঁদের জন্য তৈরি হবে বড় দোকান। মংপুতে হবে হিল ইউনিভার্সিটি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ক্যাম্পাস পাবে পাহাড়বাসী। ডাওহিলে হবে এডুকেশন হাব। কার্শিয়াং থেকে রোহিনী পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে। রিজার্ভার তৈরি করে ঝোরার (ঝর্ণা) জল সংরক্ষণের ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি চালালে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ দেবে সরকার।’