বগটুই গণহত্যার পর সেখানে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনিই ছিলেন বীরভূমের সর্বেসর্বা। এখন তিনি নেই। অর্থাৎ সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কেষ্টকে ছাড়াই বীরভূমে এবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
কবে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বীরভূমে যেতে চলেছেন। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বীরভূম যাচ্ছেন তিনি। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিকে নিয়ে বড় সভা করবেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বীরভূমের খয়রাশোলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বড় কর্মসূচি রয়েছে। আবার বীরভূমের দলীয় সংগঠন নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বসতে পারেন। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনে রদবদল করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের বীরভূম সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একদিকে কেষ্ট জেলে। অন্যদিকে সংগঠন কতটা প্রস্তুত সেটা দেখতে হবে। তার উপর বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে বীরভূম থেকে জয় নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। যতবার বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন, তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন প্রিয় কেষ্ট। সেখানে এবার সভা–সমাবেশ করা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য গড়ে তোলা একটু হলেও কঠিন।
কেন বীরভূম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? এই সফরের মূল বিষয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই জেলার সংগঠন বুঝে নিতে চাইছেন তিনি নিজেই। কারণ এখন অনুব্রত মণ্ডল জেলে। তাই সংগঠন এখন সেখানে কেমন অবস্থায় আছে তা বুঝে নিতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে কী করেন সেটাই দেখার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৬টি পুরসভাকে নিয়ে সমাবেশ হবে বলেও জানা গিয়েছে।