মালদার ধান ক্রয় কেন্দ্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিহার থেকে কম দামে ধান নিয়ে এসে বিক্রি করা হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের ধান কেন্দ্রে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ। কৃষকদের অভিযোগ, কিছু রাইস মিল মালিক এভাবে ধান বিক্রি করছে। অথচ ধান বিক্রি না করার পরেও তাদের মোবাইলে মেসেজ আসছে একাউন্টে টাকা ঢোকার। কিন্তু, সেই টাকা তারা পাচ্ছেন না। এখন এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও অভিযোগকে যান্ত্রিক ত্রুটি বলে দাবি করছে তৃণমূল। তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে চাইনি বিজেপি।
স্থানীয় এক কৃষকদের অভিযোগ, ‘হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা কৃষক বাজারের ওই কেন্দ্রে আমাদের কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। ধান বিক্রি করতে গেলে আমাদের ধাক্কাধাক্কি করা হয় যাতে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে আসি। ধান বিক্রি না করেও ১০ মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ৪০ থেকে ৫০ টি মেসেজ আসে।’
যদিও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এক একটা অঞ্চলে নির্দিষ্ট দিনে ধান বিক্রি করা হয় যদি কারও কাছে মেসেজ ঢুকে থাকে তাহলে সেটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হতে পারে।’ তবে এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ।
স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক ঋষির অভিযোগ, ‘আমাদের স্থানীয় কৃষকরা এখানে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। বাইরে থেকে কম দামে ধান এখানে বিক্রি করা হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীরাই এই কাজ করছে। কৃষকদের মোবাইলে মেসেজ যাচ্ছে অথচ তৃণমূল কর্মীদের একাউন্টে টাকা ঢুকেছে।’ তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে সম্ভব? কেন এ নিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে না?