নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা সবাইকে দিতে হবে। টিকাকরণ নিয়ে এবারে কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নির্দিষ্ট সময়ে না পাওয়া নিয়ে অভিযোগও উঠেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে সকলে ভ্যাকসিন পান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি নোডাল অফিসারকে ভ্যাকসিন সেন্টারে থাকতে হবে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যাতে সুষ্ঠুভাবে যাতে ভ্যাকসিন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টিকা প্রাপককে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন নেওয়ার সেন্টারে যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি ঠিকভাবে মানা হয়, সেজন্য নজর রাখতেও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায়। এর আগেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গকে যেন জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়া হয়। পরদিনই পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভ্যাকিসনের আরও আরও ২১ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে। ২১ লাখ ডোজ টিকার মধ্যে সাড়ে ৯ লাখ ডোজ বুধবার বিকেলেই এসে পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। চলতি মাসেই বাকি প্রায় ১১ লাখ ডোজ টিকা এসে রাজ্যে পৌঁছে যাবে বলেই আশা করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন যাতে ঠিকভাবে দেওয়া হয়, সেই কারণেই কড়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।