কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ধূপগুড়ি উপনির্বাচন পরিচালনায় থাকছে রাজ্য পুলিশও। সোমবার ডিসি - আরসি থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণের সময় এমনটাই জানালেন রিটার্নিং অফিসার তথা জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেজন্য জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে তৈরি করা হয়েছে DCRC. এদিন সেখানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা ৩০ মিনিট অব্দি। ২টি ব্লক ও ১টি পুরসভায় ২৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ২,৬৯,৪১৬ জন ভোটদাতা ভোট দেবেন। ভোটের কাজে মোট ১,০২৪ জন ভোটকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। এছাড়া অতিরিক্ত কর্মী মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা প্রায় ১,২০০। ২০৫টি জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ১ ও ২টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আর তিন ও চারটি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় ২ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া রাজ্যপুলিশের কর্মীরাও মোতায়েন থাকবেন। কিছু জায়গায় ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশকর্মীরা। কিছু জায়গায় লাঠিধারী পুলিশ থাকবে।’
বলে রাখি, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ভোটপ্রচারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে ঢুকতে দেব না। এবার দেখার সোমবার শুভেন্দুবাবুর কথা সত্যি হয় না জেলা শাসকের?
মঙ্গলবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণে মূলত ত্রিমুখি লড়াই হবে। সেখানে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে তৃণমূল ও বাম – কংগ্রেস জোটের।