ধর্ষণ নিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যে বিতর্ক। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে এক জনসভায় ধর্ষণ নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, দিদিমণির প্রশ্রয়ে ধর্ষণ করে বেড়াচ্ছে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘মালদায় ২ দিন আগে একটি ৬ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সাত-আট বছরের বাচ্চা তারকেশ্বরে ধর্ষিত হয়েছে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষক তৃণমূল পার্টির কর্মী-সমর্থক’।
এর পর সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে তাঁর দাবি, ‘দিদিমণি বলে দিয়েছেন, অ্যায় শোন। আমি তোদের চাকরি দিতে পারিনি তো। তোদের যখন এন্টারটেনমেন্ট দরকার, শরীর যখন গরম হয়ে যাবে তোরা গিয়ে ধর্ষণ করবি। আর আমি মহিলাদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা দিয়ে দেব’।
অগ্নিমিত্রার মন্তব্যের প্রতিবাদ করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা নারীশক্তির পূজারি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই। কিন্তু সেটা নিয়ে যারা তাচ্ছিল্য করেন তাঁদের আমরা মানুষের পর্যায়ে আনি না। এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, যে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দিলাম। আর তার পরে কোনও বিচার হয় না’।
অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে তৃণমূল ও বিজেপি ২ পক্ষকেই একসঙ্গে বেঁধেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকন্যা হিসাবে রাজনীতিতে যে অবক্ষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন তা বোধ হয় সবটা পূরণ হয়নি। তাই অগ্নিমিত্রাকে মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা মমতাকে যা বলছে যোগীর হাথরসেও তো তাই হচ্ছে’।
অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে যদিও বিতর্কিত কিছু দেখছেন না বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, ‘একদম বাস্তব কথা। তৃণমূল কংগ্রেস মাতাল ও অসামাজিক কাজকর্ম যারা করে তাদের দলে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই নির্যাতিতাদের টাকার দর বেঁধে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পার্ক স্ট্রিটের ঘটনাকে ছোট্ট ঘটনা বলেছিলেন। সঠিক তদন্ত হলে দেখা যাবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যুক্ত রয়েছেন। সেটা জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ হোক বা আমাদের পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা হোক’।
তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল কংগ্রেস করলে ডাকাতি, মহিলাদের ওপর অত্যাচার, চুরি বা চিটফান্ডের টাকা মারলেও ছাড় আছে। সেই লাইসেন্স রাজ্য সরকার দিয়ে দিয়েছে। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে রাজ্য সরকার’।