আদিবাসী এলাকায় বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই শিবির চলবে ১৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই। এই শিবির হবে প্রতি সপ্তাহে শনিবার–সহ চারদিন। জোর দেওয়া হবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে। সদ্য সমাপ্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ২৪টি প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া গিয়েছে। তবে এই বিশেষ ক্যাম্পে শুধুমাত্র অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতেই জোর দেওয়া হবে।
বিষয়টি ঠিক কী হবে? নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবিরের কথা জানান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে জমি মিউটেশন, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পগুলি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। আবেদন করা যেতে পারে জাতিগত শংসাপত্র, কন্যাশ্রী এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির জন্য। তবে কীভাবে এই বিশেষ ক্যাম্প চলবে তা নিয়ে শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজ্য।
উল্লেখ্য, সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আদিবাসীদের জমি বিক্রির ইস্যুতে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি মিউটেশন করতে গেলে দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ার মতো ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি। এসবে ইতি টানার জন্য পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন মুখ্যসচিবকে। তাই প্রতিটি জেলাশাসকের সঙ্গে বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আদিবাসী এলাকায় বিশেষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালানোর সিদ্ধান্তটি সেখানেই নেওয়া হয়।
ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের জেলাগুলিতে আদিবাসী প্রধান এলাকায় দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় যুবকদের মাধ্যমে আদিবাসী গরীব মানুষদের যাতে আবেদনপত্র পূরণের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ৯ জুন ফের কিছু উপভোক্তার হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।