মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মনের অবস্থা জানতে সমীক্ষা চালাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে স্কুলশিক্ষা পঠনপাঠনেও উন্নতি ঘটে। তার মধ্যে কার্যকর হয়েছে নয়া শিক্ষানীতি। তার জেরে এবার উচ্চশিক্ষায় কিছু বদল আসতে চলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এবার কলেজের অধ্যাপকরা পড়াতে যাবেন স্কুলে বলে ঠিক হয়েছে। যাতে স্কুলশিক্ষায় বাড়তি সাহায্য হয় ছাত্রছাত্রীদের। এই কারণে সব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দ্রুত এই কাজ শুরু করতেই বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া জেলাভিত্তিক ক্লাস্টার গড়ে তুলতে চাইছে শিক্ষা দফতর। এমনকী প্রত্যেক জেলায় একটি করে হাব হবে।
এদিকে মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিকে ভাল হচ্ছে রাজ্যে। সেটার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গোটা রাজ্যে ২০টি হাব তৈরি করা হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। তাতে স্কুলশিক্ষার পঠনপাঠন আরও উচ্চমার্গে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে বাংলা একটা জায়গায় পৌঁছতে পারে তার জন্য এত সব উদ্যোগ। কোনও বড় কলেজ বা স্কুলকে এই হাব হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। আর তারপর সব প্রক্রিয়া শুরু হবে। জেলাভিত্তিক স্তরে গোটা প্রক্রিয়াটা চলবে। তাতে বিশেষ লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমন হবে সেই প্রক্রিয়া? অন্যদিকে মোট ২০টি হাবের অধীনে ১০৩টি স্পোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে। যার মধ্যে স্কুল, কলেজ দুই থাকতে পারে। তাতে ভাবের এবং শিক্ষার আদান প্রদান হলে উন্নতি ঘটবেই। রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, স্কুলের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার পাঠের একটা ধারণা আগে থেকেই দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গবেষণা থেকে ইন্টার্নশিপ—সব ক্ষেত্রেই ক্লাস্টারের ভিত্তিতে শিক্ষার আদানপ্রদান কর্মসূচি করবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর তাতে উপকৃত হবে স্কুলগুলি। এই গোটা প্রক্রিয়াটির সমন্বয় সাধন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকেরা। তাতে একটা উৎসাহ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে বড় পদক্ষেপ, আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ওমপ্রকাশরা
ঠিক কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী? কলেজের অধ্যাপকরা পড়ালে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া অ্যাডভ্যান্স লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্কুলগুলির সমন্বয় ঘটাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমন্বয় সাধনের কাজটা জেলাশাসকরাই করবেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবে শিক্ষা দফতর। তাঁদের পারস্পারিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই গোটা প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’