সম্পত্তি বিবাদের জেরে ফের নৃশংস ঘটনা সামনে এল। সৎ ভাইকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে এবং সেই বাঁশ দিয়েই গলা টিপে নির্মমভাবে খুন করল দাদা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম(৫০)। এই ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দাদা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মতিউর রহমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা মূলত বাড়ির সামনের রাস্তা এবং সীমানা পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বাড়ির সীমানায় রাস্তার ওপর পাঁচিল দেওয়ার জন্য ইঁট নিয়ে যেতে ভাইকে বাধা দেয় মতিউর। এরপরেই তারা একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে সেই বচসা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বাঁশ দিয়ে তাকে বেধড়ক মারতে থাকে তার দাদা। এরপর সেই বাঁশ দিয়েই গলা টিপে তাকে খুন করে।
অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরের মেয়ের কিছুদিন পরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবারে। শোকস্তব্ধ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী খাইরুন বিবি অভিযোগ করেন, ‘শুধু মতিউর রহমানই নয়, মতিউরের ছেলে সাফাতুল্লাহও তার স্বামীকে মারধর করেছে। তারা দুজনে মিলে মারধর করার পর আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। এই ঘটনায় তাদের উপযুক্ত শাস্তি চায়।’ সামনে মেয়ের বিয়ে হয় বিয়ের কথা থাকায় এখন কিভাবে তা সম্ভব হবে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না খাইরুন বিবি।