কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করল পরিবার। ওদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। দিন কয়েকের মধ্যেই এই দাবিতে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
এদিন নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা বলেন, ‘আমি ছেলেকে বাইরে যেতে বারণ করেছিলাম। ও শুনল না। তার মধ্যে হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনি। আমি ভেবেছিলাম পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের দেহে গুলি লেগেছে বলে শুনতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে উঠে বাইরে বেরনোর চেষ্টা করি। আমি হৃদযন্ত্রে সমস্যা আছে। বেশি দূর যেতে পারিনি। দরজার সামনে পর্যন্ত গিয়ে পড়ে যাই। আমার ২টো ছেলে। একটা ছেলে চলে গেল। শিলিগুড়িতে কাজ করত ও। ছোট বেলা থেকে অভাবে বড় হয়েছে। আমি ওর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। নইলে সুবিচার পাব বলে মনে হচ্ছে না।’
এক গ্রামবাসী বলেন, ‘বুড়ো জ্যেঠাকে পুলিশ মারতে মারতে গাড়িতে তুলছে, দেখতে পারেনি ছেলেটা। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে ফেলে। এর পর গাড়ি ছেড়ে দেয়। আস্তে আস্তে এগোতে থাকে। তখন গাড়ির পিছন থেকে ASI মোয়াজ্জাম হোসেন মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ছেলেটা। যে পুলিশ গুলি চালিয়েছে তারা তদন্ত করে কী করে সুবিচার দেবে? আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।’
এদিন বিকেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পুলিশের গুলিতে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুতে NIA তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষ্ণু বর্মনের বাড়ি আমি চিনি। ওর বাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে যেতে হয়। সীমান্ত পেরিয়ে বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে যাওয়ার সময় পুলিশ বিএসএফের অনুমতি নিয়েছিল কি না তার তদন্ত হওয়া দরকার। এই ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি করছি’।