হাওড়ার ফোরশোর রোডের জুটমিলের অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মধ্যেই ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। জেলার ঘুসুড়িতে একটি প্লাস্টিকের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বারবার এই ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলায় অগ্নিকাণ্ড দ্বিতীয় ট্রেনে! এবার আহত ১৯ যাত্রী
দমকল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার ঘুসুড়ির নস্কর পাড়ায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বস্তা তৈরির কারখানার গুদামে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় আকাশ। আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। তবে এলাকার রাস্তা ঘিঞ্জি হাওয়ায় দমকলের গাড়ি পৌঁছতে সমস্যায় হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রাজেন্দ্র চৌহান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ধোঁয়া বের হতে দেখি। আমরা দমকলে খবর দিই। ছট পুজো থাকার কারণে কারখানাটি বন্ধ ছিল।’ প্রসঙ্গত, প্লাস্টিকের গুদামে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই কারখানার আশেপাশে আরও অনেক কারখানা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বাড়ি। এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ফলে ওই সমস্ত কারখানা এবং বাড়িগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
এই ঘটনায় অনেক দেরিতে দমকলের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর অভিযোগে তুলেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি বারবার অগ্নিকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। হাওড়ার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রঞ্জন কুমার ঘোষ জানান, খবর পাওয়ার পরেই দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। আগুন নেভানোর জন্য ৪টি দমকল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে মালিকদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও নোটিশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মানুষকেও সতর্ক করা হচ্ছে।’