সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে জোকা ইএসআই হাসপাতালে আগুন লাগে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালের শিশুদের ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেখানে পৌঁছে যায় দমকলের দু'টি অগ্নিনির্বাপক ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এদিকে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সেই ওয়ার্ডের এবং আশেপাশের ওয়ার্ডে ভরতি থাকা রোগীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। এই আবহে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও রোগী আহত হননি। এদিকে কীভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা। হাসপাতাল কর্তপক্ষও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। (আরও পড়ুন: হংকংকে হারিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শেয়ার বাজার ভারত, মঙ্গলের শুরুতেই ঊর্ধ্বমুখে লাফ সেনসেক্সের)
আরও পড়ুন: ফের মা হল নামিবিয়া থেকে আসা 'জ্বলা', কুনোয় জন্ম নিল ৩ চিতা শাবক
এদিকে গতকাল মধ্যরাতে আগুন লাগে কোন্নগর সিএস মুখার্জি স্ট্রিটের সরকারি কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে। সোসাইটির বি ব্লকের নিচেরতলায় ইলেকট্রিক মিটার বক্স থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবরে দ্রুত দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। আধ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন দমকলকর্মীরা। এর আগে সেই বিল্ডিংয়ের সব আবাসিকদের বাইরে নিয়ে বের করে আনা হয়েছিল। বিদ্যুৎ সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা এসে সেই বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এর জেরে প্রবল শীতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় আবাসিকদের। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা আর ঘটেনি সেখানে।
আরও পড়ুন: শীতলতম দিন কলকাতায়, দমদমে পারদ নামল ১০-এর ঘরে, বাংলায় কি আজ আরও ঠান্ডা পড়বে?
এদিকে জোকা এবং কোন্নগরের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আজ ভোরের দিকে মুর্শিদাবাদের এক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধার। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত জোতকমল এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সেই এলাকায় এক বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন ৬৮ বছর বয়সি সাধনা ভাস্কর নামক এক বৃদ্ধা। স্থানীরা দমকল ও পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে দমকলকর্মীরা বৃদ্ধাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেই বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে কীভাবে এই আগুন লাগল সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।