মৎস্যজীবীরা নাকি এবার জীবন বাজি রেখে মাছ ধরতে সমুদ্রে যাচ্ছেন। অন্যান্য মাছের সঙ্গে ইলিশ ধরতে যাচ্ছেন তাঁরা বলে খবর। আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার মরশুম। সেদিন থেকেই ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিতে চলেছেন মৎস্যজীবীরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, ঝুঁকি নিয়ে কেন? সূত্রের খবর, ট্রলারগুলিতে যে ডিস্ট্রেস অ্যালার্ট ট্রান্সমিটার (ড্যাট) লাগানো থাকে, সেগুলি প্রায় সবগুলিই বিকল হয়ে পড়েছে। সুতরাং মাঝসমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া সত্যিই ঝুঁকির বলে মনে করছেন অনেকে।
যন্ত্র বিকলে ঝুঁকি কেন? এই ট্রান্সমিটার মেরামত করার কোনও সেন্টার এই রাজ্যে নেই। ফলে মৎস্যজীবীদের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর সেটা বিকল থাকার জেরে মাছ ধরতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, ট্রলারগুলি বিপদ সংকেত পাঠাতে পারবে না। সুতরাং জীবনকে বাজি রেখে মাছ ধরতে যেতে হবে। সূত্রের খবর, যত সংখ্যক ট্রলার এই মরশুমে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, এবার তার অর্ধেকের কম পাড়ি দিচ্ছে মাছ ধরতে। যাতে বিপদে পড়তে না হয়। তারপরও যাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের জীবনের ঝুঁকি থাকছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, বাঙালির পাতে পর্যাপ্ত ইলিশ উঠবে কি?
কেমন কাজ করে এই যন্ত্র? এই ট্রান্সমিটারের চারটি সুইচ আছে। যে কোনও বিপদে নির্দিষ্ট সুইচ টিপলে, তার সংকেত চলে যাবে চেন্নাইয়ে যন্ত্র নির্মাতাদের সদর অফিসে। সেই সংকেত পেলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট করে দেয় হলদিয়া উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। এই বাহিনী মৎস্যদফতর এবং মৎস্যজীবীদের সংগঠনগুলিকে জানিয়ে দেওয়ার পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু এবার যে ট্রলারগুলি সমুদ্রে যাচ্ছে, তাদের থাকছে না ড্যাটের সুবিধা।
তাহলে এখন কী হবে? এই যন্ত্র যাঁদের বিকল হয়েছে তাঁদের সারাবার একটা রাস্তা আছে। এই বিষয়ে নন্দীগ্রামে মৎস্যদফতরের সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন সাহু হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটালকে টেলিফোনে বলেন, ‘এই বিষয়ে যোগাযোগ করতে হবে মৎস্য দফতরের সামুদ্রিক বিভাগে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার করে সচেতন করেছি। এরপরও যদি কারও ট্রলারে ড্যাট যন্ত্র বিকল হয়ে থাকে তাহলে নির্দিষ্ট বিভাগে গেলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে। আসলে এই যন্ত্র কাজ শেষের পর মৎস্যজীবীরা ট্রলারে লাগিয়ে রাখেন। ফলে ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া এই যন্ত্রগুলির উপর ধুলোর আস্তরণ পড়ছে। কিন্তু ঝুঁকি না নিতেই প্রচার করা হয়েছে।’