বিকেলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একসঙ্গে ইস্তফা দিলেন মালদহের বামনগোলা ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ অঞ্চল সভাপতি। একসময় যে জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু।
বামনগোলা ব্লকে যে ছ’টি অঞ্চল আছে, তার মধ্যে জগদলার নারায়ণ মণ্ডল, বামনগোলার তফিউর রহমান, চাঁদপুরের সাহেব হাঁসদা, পাকুয়াহাটের শ্যামল মণ্ডল এবং গোবিন্দপুর- মহেশপুরেপ মানিক মাহাতো ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে দলের নেতৃত্বদের প্রতি নিজেদের ‘রাগ’-এর কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসফুল শিবিরে আছেন। কিন্তু এখন সবকিছু পালটে গিয়েছে। দলের তরফে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। ‘ঠিকাদার, ব্যবসায়ীদের’ দিয়ে ব্লকে দল চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
সেই ‘বেসুরো’ হওয়ার পাশাপাশি ইস্তফার সময়ের জেরে গুঞ্জন আরও বেড়েছে। কারণ বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দুর ইস্তফার পরই একসঙ্গে পাঁচজনের ইস্তফা দিয়েছেন। একাংশের বক্তব্য, মালদহে তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শুভেন্দুর। পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। দলের নীচুস্তরে ‘দাদার অনুগামী’-র সংখ্যা নেহাত কম নয়। হাতের তালুর মতো চিনতেন সংগঠন। তাহলে কি শুভেন্দুর পথে শরিক হবেন ওই পাঁচ নেতাও? তাঁরাও কি ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে যাবেন ‘দাদা’-র সঙ্গে যাবেন? তাঁদের অবশ্য দাবি, পদত্যাগ করলেও তৃণমূলেই আছেন।
যদিও একযোগে পাঁচ অঞ্চল সভাপতির ইস্তফা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। বরং তাঁদের দাবি, জেলার কমিটিগুলি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বামনগোলাতেও তাই হচ্ছে। তাই ইস্তফা খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়।