উদ্দেশ্য ছিল কলকাতায় পাচার করা। তার আগেই পাচারকারীদের সেই উদ্দেশ্য বানচাল করল বনদফতর। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থেকে ট্রাক ভর্তি বার্মা টিক সেগুন কাঠ উদ্ধার করল বন বিভাগ, যার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকা থেকে এই পরিমাণ বর্মা টিক সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ।
বার্মাটিক কাঠ পাচারের খবর আগেই ছিল বন বিভাগের কাছে। সেই মতোই বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন।রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে রবিবার সকালে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ির ৩১ নং জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকা থেকে একটি ১৪ চাকার লরি আটক করা হয়। লরির ওপরে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ছিল। তা দেখে সন্দেহ হয় বন কর্মীদের। এরপর ত্রিপল সরাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে বার্মাটিক সেগুন কাঠ। ওই লরিতে অসমের নম্বর প্লেট ছিল। প্রাথমিকভাবে বন কর্মীদের অনুমান, এই কাঠগুলি অসম থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে বার্মা টিক।
এই ঘটনায় গাড়ির চালক মহম্মদ এখলাসকে গ্রেফতার করেছে বনবিভাগ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই কাঠগুলি অসম থেকে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। ধৃতকে সোমবার আদালতে তোলা হবে। এই পাচার চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে বন বিভাগ এবং পুলিশ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে একইভাবে একটি লরি থেকে প্রচুর পরিমাণে বার্মাটিক উদ্ধার হয়েছিল, যার মূল্য ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ইদানিং যেভাবে কাঠ পাচার বেড়ে চলেছে তাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ এবং বনবিভাগ।