আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষের ভরসা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। কিন্তু, হাসপাতালের বেহাল অবস্থার কারণে ভুগতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা এতটাই খারাপ যে বিদ্যুৎ চলে গেলেও অন্ধকারে ডুবে থাকে গোটা হাসপাতাল। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর বিকল হয়ে রয়েছে। তাছাড়া টেন্ডার নেওয়া একটি কোম্পানি টাকা বকেয়া থাকার কারণে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালে অন্ধকারে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল মোট ৬০ টি বেড রয়েছে। আর এই গ্রামীণ হাসপাতালের উপর ভরসা করে রয়েছেন গড়বেতা, কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। হাসপাতালের পরিষেবা আগের চেয়ে অনেকটা খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের বক্তব্য, এই হাসপাতালের যে নিজস্ব জেনারেটর মেশিন ছিল সেটা খারাপ হয়ে গিয়েছে কয়েক বছর হল। পরে খড়্গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল জেনারেটর পরিষেবা দেওয়ার জন্য। তবে তিন বছর ধরে সেই সংস্থার প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে। সেই কারণে তারা আর পরিষেবা দিতে চাইছে না। গত জানুয়ারি মাস থেকে তারা পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে আর বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারেই থাকতে হয় রোগীদের। তাছাড়াও গরমের সময় নাজেহাল অবস্থা হয় রোগীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।
এই অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালে বিএমওএইচ ডক্টর স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের এই সমস্যার কথা আমি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানিয়েছি। তাছাড়া কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালে সিজার পরিষেবা চালু হবে সেক্ষেত্রে জেনারেটর না থাকলে সমস্যা দেখা দেবে।’ দুবছর কেটে যাওয়ার পরেও কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি? জেনারেটর কোম্পানির বকেয়া কেন মেটানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।