সম্প্রতি একের পর এক বিভিন্ন জেলায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার প্রায় একই সময়ে নদিয়া এবং পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের আউটলেটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার পরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। অতীতে সোনার দোকানে ডাকাতিকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। প্রশ্ন উঠেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে। কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তার জন্য আজ বুধবার নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি দেবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রানাঘাটে গয়নার দোকানে ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের গ্যাং, জানালেন DIG
গতকাল ভর দুপুরে নদিয়ার রানাঘাটে সোনার দোকানে প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা কার্যত হার মানিয়েছেন সিনেমার দৃশ্যকে। শহরে সোনার দোকানে ডাকাতির দৃশ্য দেখে হাড়হিম হয়ে গিয়েছিল রানাঘাটবাসীর। ডাকাতের ৯ জনের একটি দল রানাঘাট সেনকো গোল্ডের ব্রাঞ্চে ঢোকে। তারপর ভাঙচুর চালিয়ে ব্রাঞ্চের কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে রানাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই চলে। প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলির লড়াই দেখে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন অনেকেই। শেষ মেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৪ জন। বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, এই দুষ্কৃতীদের দল এসেছিল বিহার থেকে। প্রথমে একজন এলাকায় এসে সোনার দোকান পরিদর্শন করে যায় ও পরে বাকিদের ডেকে নেয় সে।
অন্যদিকে, ঠিক একই সময়ে প্রকাশ্য দিবালোকে পুরুলিয়া শহরের একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মোটর বাইকে করে ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল পুরুলিয়া শহরের নামাপাড়ার ওই বহুজাতিক সংস্থার গহনার দোকানে হেলমেট পড়ে ভিতরে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে সমস্ত গয়না লুট করে নিয়ে যায়। দোকানে থাকা সিকিউরিটিতে বেঁধে রাখে ওই ডাকাত দলটি। আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাত দল। ঘটনার খবর পেয়ে দোকানে ছুটে যান পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যদি রাজ্যের প্রথম সারির সোনার দোকানেই এইভাবে দিনেদুপুরে ডাকাতি হচ্ছে। তাহলে ছোট সোনার দোকানের ব্যবসায়ীরা কীভাবে নিরাপদ? ঘটনায় কার্যত আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাই তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে আবেদন জানাবেন।