সত্য়ের মুখোমুখি। আর সেই মুখোমুখি হতে দিয়ে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন যিনি সেই তরুণীর মুখই সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজে সামনে চলে এল। এখানেই প্রশ্ন উঠে গেল এভাবে কি শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন বলে যিনি অভিযোগ করছেন তাঁর অনুমতি ছাড়া কি তাঁর চেহারা বা শরীরকে পাবলিকের সামনে উপস্থাপিত করা যায়?
এই ঘটনাকে ঘিরে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছেন তরুণী নিজেই। একাধিক সংবাদমাধ্য়মে মুখ খুলেছেন ওই তরুণী। তিনি লিখেছেন, 'আমি সিসিটিভি ফুটেজের প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত নই। কিন্তু আমি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ আউট পোস্টের দিকে যাচ্ছি এটা দেখা গিয়েছে। আমি জানি রাজ্যপালের রক্ষাকবচ রয়েছে। তার কিছুই হবে না। '
সেই সঙ্গেই অপর একটি সংবাদমাধ্য়মে তিনি জানিয়েছেন, 'এই হাস্যকর নাটকটা না করে পুলিশকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়ার সাহসটা দেখাতে পারতেন। …এখন আবার নিজের দোষ ঢাকার জন্য উনি হাস্যকর এক নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি আমার ফুটেজটা প্রকাশ্য়ে আনলেন। আমি জানতাম ভারতীয় আইনে রয়েছে যে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি আবার অপরাধ করলেন।…'
তবে রাজভবনের এদিনের ফুটেজ দেখে এদিন একদিকে যেমন একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে তেমনি প্রশ্ন উঠছে এখানে যে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার কথা বলা হয়েছিল বাস্তবে সেই সত্য কি সামনে এল?
কারণ বার বারই বলা হচ্ছে যেখানে ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেখানকার ফুটেজ কোথায়?
এমনকী ওই তরুণী দাবি করেছেন প্রয়োজনে লাই ডিটেক্টর সহ অন্যান্য কোনও উন্নত প্রযুক্তি থাকলে তার মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত।
যেদিন রাজভবনে শ্লীলতাহানি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেদিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজকে সামনে আনা হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সেই ফুটেজ। ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত ফুটেজ দেখিয়েছে রাজভবন। সেখানে রাজভবনের মেন গেট ও নর্থ গেটের ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেখানকার একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যিনি অভিযোগ করেছিলেন সেই মহিলা ৫টা বেজে ৩২ মিনিটে পুলিশের একটি রুমে যাচ্ছেন। সেখান থেকে প্রায় ৫টা ৪০মিনিটে তিনি পাশের একটি রুমে যাচ্ছেন।
একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে হন্তদন্ত হয়ে ওই তরুণী প্রথমে রাজভবনের ওসির ঘরে যাচ্ছেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি অ্যাডিশনাল ওসির ঘরে যান। তবে একটি কনফারেন্স রুমে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেখানকার কোনও ফুটেজ অবশ্য় দেওয়া হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।