বাংলা ব্যান্ডের জগতে পৃথিবী যেন একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। আর এই ব্যান্ডের নাম উঠলেই যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি হলেন কৌশিক চক্রবর্তী। যাঁরা তাঁর অনুরাগী তাঁরা সকলেই জানেন গায়ক মন প্রাণ দিয়ে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সমর্থক। বাঙাল বাড়ির ছেলে হওয়ার সুবাদেই এই ফুটবল ক্লাবকেই সমর্থন করে তিনি। তবে তিনি যতই ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থক হন না কেন তাঁর পুত্র কিন্তু আবার ভিন্ন মত পোষণ করে। বাবা বা পরিবারের আদর্শ বা মতামত মেনে সেও কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থক হয়ে ওঠেনি। বরং ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে সমর্থন করে সে। কিন্তু ছেলে বা বাবা যে, যে দলেরই সমর্থক হন না কেন তাঁরা দুজনেই যে ফুটবল অন্ত প্রাণ, এবং একে অন্যের ভাবনা আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেন না সেটাই এদিন একটি পোস্ট করে স্পষ্ট করে দিলেন গায়ক।
ছেলেকে নিয়ে কী লিখলেন কৌশিক?
এদিন কৌশিক চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এবং তাঁর ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি সোফায় তাঁরা পাশাপাশি বসে। গায়কের পরনে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের জার্সি। আর তাঁর ছেলের গায়ে মোহনবাগানের। এই ছবিটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'না, আমি ওকে আটকাইনি। তবে প্রথম প্রথম যে বংশ পরম্পরা ধরে রাখতে চাইনি তা নয়। জার্সি কিনে দিয়েছি, ফ্ল্যাগ দিয়েছি, সবই হয়েছে। কিন্তু বড় হতে হতে ফুটবলটা যখন একটু একটু করে বুঝতে শিখছে তখন মোহনবাগানকে ভালোবাসছে। সারাদিন বলছে 'জয় মোহনবাগান','জয় এগারো', মোহনবাগানের ইতিহাস জানছে, বাংলার ফুটবলের ইতিহাস জানছে। আটকানো যায় এসব?'
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের জন্যই ১৫ লাখ করে পাচ্ছেন না নাগরিকরা, দাবি কঙ্গনার! বললেন, 'এই সুবিধা তখনই পাবেন যখন...'
একই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, 'কট্টর বাঙাল বাড়ির ছেলে আর ইস্ট বেঙ্গল সাপোর্টার হয়েও আমি আটকাইনি। আটকানো যায়না! এক ছাদের তলায় দুই দল, এটাই বাংলার ফুটবল।' তাঁর এই পোস্ট দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। বহু কমেন্ট এসেছে তাঁর পোস্টে।
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'আমার বাড়ির ক্ষেত্রেও অনেকটা এক দাদা। আমার বাবার দিক দিয়ে বাঙাল আমরা, আমার মা ঘটি। তাই বাড়ি শুদ্ধু সবাই ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থক। খালি আমি আর আমার মা মোহনবাগানের সমর্থক। খেলা দেখার সময় অনেক মতবিরোধ হয় বাড়িতে, কিন্তু কেউ কাউকে জোর করিনি।' আরেকজন লেখেন, 'আমার বাবাও আমাকে কোনদিন আটকানোর চেষ্টা করেনি। কারণ জানত বাঙালের পোলা যেটা একবার ধরেছি সেটা আর ছাড়ব না। তাই জয় মোহনবাগানই হয়ে গেলাম।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'আরে ওকে দেখেই বুঝেছি মোহন বাগান! আর তুই তো গায়ক হলেও রিয়েল স্পোর্টসম্যান। আর স্পোর্স্টম্যানদের কোনও টিম হয় না।' চতুর্থ জন লেখেন, 'সত্যি দাদা, দেখে ভালো লাগলো, আসলে মোহনবাগানে আলাদা করে কোনও ঘটি ব্রিগেড নেই, বহু বাঙাল ঘটি মিলেমিশে একাকার এখানে।' পঞ্চম ব্যক্তির মতে, 'আশা রাখছি মোহনবাগান ক্লাবও অনেক অনেক আনন্দের মুহূর্ত উপহার দেবে৷ সমর্থকরাও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন।'