বনগাঁয় পেট্রাপোল সীমান্তের কাছেই একটি পুকুর থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে বিএসএফ।
আদ্যিকালে রাজা বা জমিদাররা নিজেদের ধন-রত্ন লুকিয়ে রাখতেন পুকুরের নীচে বা কোনও গর্তে। তবে আধুনিক যুগে এই কাজটাই করে থাকে অনেক পাচারকারী। সম্প্রতি বনগাঁতে এক পুকুরে ডুব দিয়ে বিএসএফ উদ্ধার করেছে প্রায় ৪০টি সোনার ইট। যার আনুমানিক বাজার দর প্রায় আড়াই কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে অবস্থিত কালিয়ানি এলাকা থেকে। ল্যান্ডমাইন ডিটেক্টর ব্যবহার করে উদ্ধার করা হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ শোনা। (আরও পড়ুন: এবার কলকাতাতেও তৈরি হতে চলেছে 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার', বড় ঘোষণা মমতার)
জানা গিয়েছে, পুকুর থেকে ৪ কেজি ৬০০ গ্রামের ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে বিএসএফ। ভারতীয় বাজারে তার মূল্য ২.৫৭ কোটি টাকা বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ১৫৮ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পুকুরে তল্লাশি চালায়। সেই সময়ই এই বিপুল পরিমাণ সোনার বাট উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক পাচারকারী সীমান্ত পার করার সময় ধরা পড়ার ভয়ে এই পুকুরে ডুব দিয়েছিল। সেই সময় এই সোনা এখানে রেখে দিয়ে গিয়েছিল সে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাচারকারীরা নিত্য নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা চালিয়ে থাকে। তবে বাহিনী সর্বদা সতর্ক থেকে সেই প্রচেষ্টাকে রুখে দেয় এবং এই কারণেই পাচারকারীরা ধরা পড়ে।
বিএসএফ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক পাচারের চেষ্টার ঘটনার সূত্র ধরেই এই সোনা মিলেছে। সীমান্ত পার সোনা পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের সামনে পড়েছিল সেই পাচারকারী। এরপরই সে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। টহলে থাকা জওয়ানরা বিষয়টি কোম্পানি কমান্ডারকে জানান। পরে সেই পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাকে জেরা করা হয়। পরে ধৃতকে সেই এলাকায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করা হলেও উদ্ধারক করা যায়নি কিছুই। পরে সেই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সেই অভিযুক্ত পাচারকারী লুকিয়ে রাখা সোনা উদ্ধার করার চেষ্টা করতে থাকে। কয়েকদিন পর বিএসএফ খবর পায়, পুকুরের নীচে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার রাতে বিএসএফ জওয়ানদের একটি দল তল্লাশি চালায় সেই এলাকায়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পুরো এলাকা খুঁজে দেখা হয়। এরপর পুকুরের নীচ থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে গত এক বছরে ১১৩ কেজি সোনা পাচারকারীদের থেকে উদ্ধার করেছে তারা।