দরিদ্র মানুষের আয়ের লক্ষ্যে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাঁটছে রাজ্য সরকার। মূলত যাদের জব কার্ড রয়েছে তাদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। বিভিন্ন দফতরকে জব কার্ডধারীদের দিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করাতে বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে এবার জব কার্ড হোল্ডারদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আলাদা পোর্টাল করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ৪ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ডের টাকা কার অ্যাকাউন্টে? প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
ইতিমধ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পের পোর্টাল রয়েছে। সেই পোর্টালের সঙ্গে এই পোর্টালটি সংযুক্ত করা হবে। পোর্টালটি চালু হলে জব কার্ড হোল্ডারদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। যদিও কবে থেকে এই পোর্টাল চালু হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি ঠিকঠাক হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে খেলা হবে প্রকল্পের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প রয়েছে সেখানে খেলা হবে প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করা হবে। কীভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে নবান্ন। সম্প্রতি ২৪টি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব। সেখানে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের রায় ৬৪ লক্ষ মানুষের জব কার্ড রয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে খেলা হবে প্রকল্পের জন্য অদক্ষ শ্রমিকরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আক্রমণ করে আসছেন। গতকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানেও ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সব দফতরের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে আলোচনায় উঠে এসেছে এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষ ৭৭ হাজার জব কার্ডধারীকে কাজ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরির জন্য ১৬৮৭ কোটি টাকা রাজ্য খরচ করেছে। পথশ্রী প্রকল্পে ৩.৯০ লক্ষ জব কার্ড ধারীকে কাজ দেওয়া গিয়েছে। এই প্রকল্পে তাদের মজুরির জন্য খরচ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।