সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। সোমবার নিট পরীক্ষার আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। সেই অভিযোগের ‘কোনও ভিত্তি নেই’ বলে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিটের প্রশ্নপত্র বলে দাবি করে যে ছবিগুলি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলির সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই।
NEET-UG পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ
রবিবার দেশজুড়ে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছে। এবার প্রায় ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেন। দেশজুড়ে ৫৭১টি শহরের ৪,৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অভিযোগ করতে থাকেন যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বিশেষত রাজস্থানের একটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র প্রদানের বিষয়টি এনটিএ স্বীকার করে নেওয়ায় সেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
রবিবার এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয় যে রাজস্থানের একটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। তার জেরে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন কয়েকজন প্রার্থী। তবে তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়নি বলে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়। এনটিএয়ের তরফে বলা হয়, ‘পরবর্তীতে ১২০ জন প্রার্থীকে নিয়ে ওই কেন্দ্রে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়।’
বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। রাহুল বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশ করার পরে কলেজে ভরতি হওয়ার স্বপ্ন দেখা পড়ুয়া হোক বা সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যুবপ্রজন্ম লড়াই করা হোক- প্রত্যেকের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। গত ১০ বছর ধরে বিজেপি সরকারের অদক্ষতার কারণে যে যুবক-যুবতী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বুঝে গিয়েছেন যে সরকার চালানো এবং বড়-বড় কথা বলার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে NTA-র জবাব
সোমবার বিবৃতি জারি করে এনটিএয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর সাধনা পরাশর বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, তা এনটিএয়ের যে সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রোটোকল এবং নিয়ম-কানুন আছে, সেটার ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা গিয়েছে যে ওই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ওই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। যাবতীয় গুজবে ইতি টেনে এটাও বলা হচ্ছে যে প্রতিটি প্রশ্নপত্রের হিসাব মিলে গিয়েছে।'
সেইসঙ্গে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, নিট শুরু হওয়ার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও বাইরের লোক ঢুকতে পারেন না। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিটের প্রশ্নপত্র বলে দাবি করে যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলির সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন এনটিএয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর। তবে পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসুদপায় অবলম্বন করা হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছে এনটিএ।