আইপিএলে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো দৌড়াচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিজয় রথ। লখনউকে ৯৮ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে স্থান হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এই মরশুমে গৌতম গম্ভীরের নাইট রাইডার্স যেন তেল খাওয়া মেশিন। ঠিক ঠাক লোকের হাতে পরেই দুরন্ত গতিতে ছুটছে। গৌতম গম্ভীর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরই যেন কলকাতা দল খোলনলচে বদলে গেছে। দেখে বোঝা যাবে না এই বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেলরাই এতদিন ধরে খেলে আসছেন। ২০২১ সালেও আইপিএলে ফাইনালে গেছিল কলকাতা। সেবার ব্যাট হাতে নজর কেড়েছিলেন, কিন্তু দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে লাকি ক্যাপটেন গৌতম গম্ভীর দলের মেন্টর হিসেবে আসতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। গৌতি এসেই সুনীল নারিনের ওপর ভরসা করে তাঁকে ফের ওপেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই সিদ্ধান্ত ক্লিক করে যেতেই এখন পয়েন্ট তালিকার মগডালে বসে রয়েছে কলকাতা। সাফল্য পেয়ে সুনীলও বলছেন, কোচিং স্টাফের সমর্থন পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন-IPL 2024- আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলেন এলএসজির তারকা পেসার, জানালেন কোচ ল্যাঙ্গার
বিগত কয়েক বছরে বারবার প্রশ্নের মুখে এসেছে সুনীল নারিনের পারফরমেন্স। বল হাতে ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন। ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। আর তাতেই আত্মবিশ্বাস কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের। এই বছর অবশ্য পুরো অন্যরকম দেখাচ্ছে তাঁকে। মাথার ওপর গৌতির হাত আসতেই, এখন নারিন অরেঞ্জ ক্যাপের তালিকায় তৃতীয় স্থানে, আর পার্পেল ক্যাপের দৌড়ে ষষ্ঠ স্থানে। এই মরশুমে শতরানও করেছেন। লখনউয়ের বিপক্ষে ৮১ রান করেছেন ধুন্ধুমার মেজাজে। মেরেছেন সাতটি ওভারবাউন্ডারি।
দলকে আইপিএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে তুলে নারিন বলছেন, ‘ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শুরুটা ভালো করা আর দলের সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থন খুব জরুরি। আমার মনে হয় নিজের শক্তির দিক গুলো বুঝে শট সিলেকশন করা উচিত। কখনও সেটা কাজ করে, অবশ্য কখনও সেটা করেনা। বরুণও খুব ভালো বোলিং করছে, এটা দলের জন্য ভালো দিক। আমার জন্য কাজটা সুবিধা হচ্ছে, দুই দিক থেকে আঁটোসাঁটো বোলিং হওয়ায়। প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতিতেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তাঁরা। এটাই দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করছে’।
আরও পড়ুন-হঠাৎই Undertaker-এর ভূমিকায় কেকেআর ক্রিকেটার, মারলেন চোকস্লাম, দেখুন ভিডিয়ো
সুনীল নারিনের সঙ্গে ফিল সল্টও ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন। তবে নারিন এবার একদমই সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছেন বোলারদের কাছে। এত রথী মহারথীর মাঝে তিনিও যে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে ঢুকে পড়বেন, তা হয়ত ভাবতে পারেনি অনেকেই। কিন্তু সাপোর্ট স্টাফদের সমর্থনের কথা বলে নারিন কি ঘুরিয়ে কলকাতার অতীতের কোচদের দিকেই আঙুল তুললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। শনিবার ১১ মে তাঁদের পরের ম্যাচ কলকাতায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে।