প্রায় দু’সপ্তাহ হতে চলেছে। এখন শেখ শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বরং এখনও পর্যন্ত সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে চারজন। গত ৫ জানুয়ারি, শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। ইডি অফিসার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা দৌড়ে পালাচ্ছে—এই দৃশ্য দেখেছেন মানুষজন। কিন্তু এতকিছুর পরও শেখ শাহজাহানের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। তাহলে শেখ শাহজাহান এখন কোথায়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই হামলার ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। আর রাজ্যপাল এখন যা বললেন তাতে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এদিকে ইডি অফিসারদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? এই নিয়ে সর্বত্র উঠেছে প্রশ্ন। এবার গঙ্গার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। শাহজাহানের এই কাণ্ড যখন প্রকাশ্যে আসে তখন তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে পুলিশকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। একেবারে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ এখনও শাহজাহানের সন্ধান পায়নি। রবিবার ভাটপাড়ায় গঙ্গা আরতি করতে এসে শেখ শাহজাহান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে আজ, সোমবার মকর সংক্রান্তি তিথি পড়েছে। ঠিক তার আগের দিন ভাটপাড়ার হিন্দু জাগরন মঞ্চে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর এদিন তিনি গঙ্গা আরতিও করেন। বাংলায় নিজের বক্তব্যও রাখেন রাজ্যপাল। গঙ্গা আরতি শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন সাংবাদিকরা, শেখ শাহজাহান কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ‘গঙ্গা কীভাবে গোটা দেশের সম্প্রীতি এবং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে রয়েছে। শেখ শাহজাহান কোথায়, মা গঙ্গার কাছেই তার উত্তর আছে।’
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় প্রভাব গঙ্গাসাগর যাত্রায়, মকর সংক্রান্তিতে মনস্কামনা পূরণে পুণ্যার্থীদের ভিড়
কাকে মা গঙ্গা বলে ইঙ্গিত করলেন রাজ্যপাল? সেটা খোলসা করে বলেননি রাজ্যপাল। তবে মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর রাজ্যপাল টেলিফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিরোধী শিবির থেকে বলা হচ্ছে সন্দেশখালিতেই আছে শেখ শাহজাহান। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানও একই কথা বলেছেন। স্থানীয় মানুষ মনে করতে পারছেন না, কবে তাঁরা শেষবার দেখেছেন শাহজাহানকে। তবে ইডি অফিসারদের মারধর করার ঘটনার পরই পঞ্চায়েত প্রধান বলেছিলেন, শাহজাহান সমাজসেবী। তিনি পালানোর ছেলে নন। আত্মগোপনও করতে পারেন না তিনি।