বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > গণধর্ষণে যুক্ত তৃণমূলি পশুদের কঠোর শাস্তি চাই, হাঁসখালিতে বললেন শুভেন্দু

গণধর্ষণে যুক্ত তৃণমূলি পশুদের কঠোর শাস্তি চাই, হাঁসখালিতে বললেন শুভেন্দু

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি

শুভেন্দুর আশ্বাস, ‘এখানে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে গুজরাতের মতো মদ বিক্রিও বন্ধ হবে। আমরা কথা দিতে পারি। তাই মা বোনেরা ঠিক করুন, ঘরে শান্তি রাখবেন, সম্ভ্রম রাখবেন? না ৫০০ টাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।

হাঁসখালি গণধর্ষণের বর্ষপূর্তিতে কালাদিবস পালন করল বিজেপি। এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে যোগদান করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হাঁসখালি গণধর্ষণে দোষী তৃণমূলের পশুদের কঠোর শাস্তি চাই। এদিন রাজ্যে মদ বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দুবাবু হাঁসখালির নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের পশুরা তাঁদের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। সভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশেষ গুণের অধিকারিনী। তাঁর কীর্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিনই তাঁর কীর্তি আমরা দেখছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে চুরি, দুর্নীতি, লম্পটবাজি তো আছেই, গরু, কয়লা, বালি পাথর এ পাচার তো চোখের সামনে দেখছি আমরা। তার সাথে বড় বড় কথা বলেন, বিয়ের জন্য রূপশ্রী দিই। পড়ার জন্য কন্যাশ্রী দিই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছি। আর একটা কথা বলেন না, গত ১ বছরে মদ বেচে ১২ হাজার কোটি টাকা তুলেছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে। গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে সব থেকে সস্তায় মদ কোথায় পাওয়া যায়? পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায়। ৫০০ টাকা দিলাম, ওই টাকাটা ঘুরিয়ে আমার মদের দোকানে নিয়ে এলাম। এটাই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল কাজ’।

শুভেন্দুর আশ্বাস, ‘এখানে রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে গুজরাতের মতো মদ বিক্রিও বন্ধ হবে। আমরা কথা দিতে পারি। তাই মা বোনেরা ঠিক করুন, ঘরে শান্তি রাখবেন, সম্ভ্রম রাখবেন? না ৫০০ টাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। নরেন্দ্র মোদী যেদিন তেলের দামে সেস কমিয়েছিলেন সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদের দাম কমান। ২৮ টাকার মেহুলের বোতল পাউচে পাওয়া যায় দোকানে দোকানে। নতুন ১০ হাজার মদের দোকানের লাইসেন্স দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।

এর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘এত মদ মদ করছি কেন বলুনতো? ক্লাস নাইনের এই ছোট্ট বাচ্চাটিকে এখানকার পঞ্চায়েতের সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির ছেলের জন্মদিনে ডেকে নিয়ে এল। সমরেন্দ্র গয়ালির ছেলে সোয়েল, ব্রজ, তার বন্ধুদের নিয়ে ১৪ বছরের বাচ্চা মেয়েটির যা যা থাকে এই তৃণমূলের পশু তাকে রক্তাক্ত করল, ক্ষতবিক্ষত করল। এই পশুদের কঠোর শাস্তি চাই’।

গত বছর ৪ এপ্রিল রাতে হাঁসখালিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সমরেন্দ্র গয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল গয়ালির জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৪ বছরের ওই নাবালিকা। অভিযোগ, খবর পেয়ে সারা রাত নাবালিকার বাড়ি ঘিরে রাখে ব্রজ ও তার বন্ধুরা। সকালে নাবালিকার মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়ায় স্থানীয় শ্মশানে তার দেহ দাহ করে তারা। এমনকী ঘটনার কথা পুলিশে জানালে ফল ভালো হবে না বলে নাবালিকার বাবাকে হুমকি দেয় ব্রজ। পরে চাইল্ড লাইনের তৎপরতায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে নেমে ব্রজকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। পরে ঘটনার সিবিআই তদন্তেরে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পর গ্রেফতার হয় ব্রজর বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিসহ আরও ৩ জন।

 

বন্ধ করুন