এবার তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এর আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলা গৃহীতও হয়েছে। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন তিনি। তবে উচ্চ আদালত জানিয়েছে, আলাদা মামলা নয়। মামলাকারী চাইলে তার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মামলা তিনি যুক্ত করতে পারেন।
এদিকে আদালতের রায়কে বিজেপি প্রভাবিত বলে উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় দলের কর্মীসভার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ যেভাবে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে চলছে তাতে এই আদালত…
এরপরই তিনি জানিয়েছিলেন, একজন বিচারপতি…বিচারপতি থাকাকালীন বলেছেন বিজেপি অ্যাপ্রোচ মি আই অ্যাপ্রোচ বিজেপি। তার মানে বিজেপির সঙ্গে তিনি যোগাযোগে ছিলেন। আর সেই বিচারপতি যদি বিজেপিতে যান তাহলে ভারতবর্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টকে….
এদিকে অভিষেকের এই বক্তব্যের পরেই বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা করার জন্য আবেদন করেন। তবে সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়েছেন, এর আগেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করেছেন। এবার আইনজীবী যদি চান তবে তিনি আগের আবেদনের সঙ্গেই বিষয়টি যুক্ত করতে পারেন। তবে আলাদা করে এই বিষয়টি নিয়ে মামলা যুক্ত করার ব্যাপারে কোর্ট সায় দেয়নি।
এসএসসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল পুরোটাই বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি।
এদিকে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে যোগ্যদের চাকরি যাতে বহাল থাকে তেমন একটা ব্যবস্থা কি করা যায় না? তাহলে হয়তো সমস্য়াটা কিছুটা হলেও কম হত।
তবে এসএসসি চেয়ারম্যান আগেই দাবি করেছিলেন, অযোগ্যদের তালিকা আদালতকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার কবুল করলেন চাকরিহারাদের মধ্যে কারা যোগ্য, তা বলা সম্ভব নয়।
এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আগেই জানিয়েছিলেন, 'সবাইকে যোগ্য বলে শংসাপত্র দেব কী ভাবে? নানা ধরনের কারচুপি থাকতে পারে। কারও অ্যাকাডেমিক নম্বর বাড়ানো থাকতে পারে, ইন্টারভিউ নম্বর বাড়ানো হয়ে থাকতে পারে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিকের নম্বর থেকে শুরু করে সব কিছু খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব নয়। এর পরে যদি ওই তালিকা থেকে আরও ৩০ জনের বেআইনি নিয়োগ বেরোয়, তখন কী হবে? তাই 'সবাই যোগ্য কি না নিশ্চিত নই' এই কথাটা বলেছি।'